স্বাস্থ্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
স্বাস্থ্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মে ১৬, ২০২২

লিচুর পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা।

লিচুর পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা।

লিচুর পুষ্টিগুণ এবং উপকারীতা,লিচুর ছবি,লিচুর পিক,litchi.

এখন লিচুর মৌসুম, গাছে গাছে পাকতে শুরু করেছে লিচু। সেইসঙ্গে বাজারেও উঠেছে লিচু। গ্রীষ্মের এই রসালো ফল খুব কম সময়ের জন্য আসে। স্বাদ ও গন্ধের জন্য লিচু অনেকের কাছেই প্রিয় ফল। শুধু স্বাদই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর এই ফল। নানা অসুখ থেকে দূরে রাখে লিচু। চলুন জেনে নেওয়া যাক লিচুর উপকারিতাগুলো:

লিচুর পুষ্টিগুণ:

পুষ্টিগুণের দিক থেকে এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সি। ক্যালসিয়াম দরকার হয় হাড়, দাঁত, চুল, ত্বক, নখ ভালো রাখতে। হিসাব করে দেখা গেছে, ১০০ গ্রাম লিচুতে শর্করা থাকে ১৩.৬ গ্রাম, ক্যালরি ৬১, ক্যালসিয়াম ১০ মিলিগ্রাম, লৌহ ০.৭ মিলিগ্রাম ও ভিটামিন ‘সি’ ৩১ মিলিগ্রাম। ১০০ গ্রাম লিচু বলতে মাঝারি আকারের প্রায় ১০টি লিচুকে বোঝায়। মার্কিন ওষুধ প্রশাসন বিভাগ বলছে, প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুতে ৬৬ কিলোক্যালরি শক্তি ও ১৬ গ্রাম শর্করা রয়েছে। চর্বি একেবারেই নেই। আরও আছে ৭১ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’, ১৭০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ১৪ মাইক্রোগ্রাম ফলেট এবং সামান্য পরিমাণ (১মিলিগ্রাম) সোডিয়াম।

লিচুর উপকারিতা:

লিচু আমদের শরীরে ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে যথেষ্ট সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হলে সব ধরনের ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। এছাড়া লিচুতে থাকা পুষ্টি উপাদানগুলা আমাদের রক্তের শ্রেতকণিকা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

লিচু শরীরের ব্লাড সার্কুলেশন বা রক্তের সঞ্চালন বৃদ্ধি করতের সহায়তা করে। রক্তের পরিসঞ্চালন বৃদ্ধি পাওয়ায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

হার্ট ভালো রাখাতে সহায়ক লিচু। এতে অলিগোনল থাকে; যা নাইট্রিক অক্সাইড তৈরিতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরে রক্ত চলাচলে সাহায্য করে এই নাইট্রিক অক্সাইড। এতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড ভাসকুলার ফাংশন উন্নত করে। ফলে হৃদরোগ প্রতিরোধ করা সহজ হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত লিচু খেলে হার্টের অসুখের ঝুঁকি কমে প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ।

লিচু ত্বক উজ্জ্বল করতে ও বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে।  রোদে পুড়ে কালচে হয়ে যাওয়া ত্বকে লিচু চটকে ভিটামিন-ই ক্যাপসুল মিশিয়ে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে দারুণ উপকার পাওয়া যায়।

লিচুর সবচেয়ে বড় উপকারিতা হচ্ছে- এটি ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে। লিচুতে থাকা ভিটামিন-সি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আমাদের শরীরে ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে। লিচু রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণেও বেশ ভালো ভূমিকা রাখে। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। লিচু অ্যাজমা বা হাঁপানি প্রতিরোধে সহায়তা করে

মে ০২, ২০২২

আমরা কি গ্রীষ্মকালে ডিম খেতে পারি?

আমরা কি গ্রীষ্মকালে ডিম খেতে পারি?

ডিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, ডিমের পুষ্টিগুন

 আমরা সকলেই কিন্তু ডিম খেতে পছন্দ করি? বিশেষ করে সুস্বাদু হলুদ-কুসুম, বাদামী ডিমের সাদা অংশ, কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন, এই ডিমগুলো সাদা ডিম থেকে আলাদা কী করে? ডিম প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন দিয়ে পরিপূর্ণ, যা তাদের পুষ্টির সবচেয়ে বড় উৎস করে তোলে, কিন্তু গ্রীষ্মে বাদামী ডিম খাওয়া কি নিরাপদ? আসুন দেখি।


বাদামী ডিম ও সাদা ডিমের মধ্যে পার্থক্য:

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাদামী এবং সাদা ডিমের মধ্যে কোন প্রকৃত পার্থক্য নেই, তবে বেশিরভাগ ডিম প্রেমীরা বাদামী ডিমের স্বাদ নিয়ে শপথ করে। মজার বিষয় হল, বাদামী ডিমের একই রকম পুষ্টির গঠন রয়েছে তাই বাদামী এবং সাদা ডিমের মধ্যে পার্থক্য শুধুমাত্র মুরগির খাদ্যের উপর নির্ভর করে, যা এই ডিমের রঙ এবং স্বাদ নির্ধারণ করে।


বাদামী ডিম বেশিরভাগই জৈব এবং ব্যয়বহুল, এটি মুরগির ধরণের পার্থক্যের কারণে। বেস্ট ফুড ফ্যাক্টস নামে একটি ডিজিটাল জার্নালে প্রকাশিত একটি নিবন্ধন অনুসারে, এই দুটি ধরণের ডিম আলাদা হওয়ার কয়েকটি কারণ রয়েছে। সাদা ডিম মুরগি দ্বারা পাড়া হয় যেগুলির সাদা বৈশিষ্ট্য, সাদা কানের লোব রয়েছে।


বাদামী ডিমে কেমন ক্যালরি থাকে?

ইউনাইটেড স্টেট ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) অনুসারে, 100 গ্রাম বাদামী ডিমে প্রায় ১২.৫৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে। আসলে, একটি বড় ডিমে (৫০ গ্রাম) প্রায় ৭২-৮০ ক্যালোরি এবং ৪.৭৫ গ্রাম চর্বি থাকে, যার মধ্যে মাত্র ১.৫ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট।


গরমে ডিম খাওয়া কি নিরাপদ?

বাদামী ডিমে প্রতি পরিবেশনায় প্রায় ৭২-৮০ ক্যালরি থাকে, যা সহজে একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য পরিচালনা করতে সাহায্য করতে পারে। যাইহোক, এটি একটি সাধারণ অতিকথা যে গ্রীষ্মকালে ডিম খাওয়া হজম কে প্রভাবিত করতে পারে। কারণ ডিম উষ্ণ প্রকৃতির এবং শরীরে তাপ উৎপন্ন করে, তবে গ্রীষ্মের ঋতুতেও পরিমিত পরিমাণে ডিম খাওয়া শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি দিতে পারে।


বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে প্রায় এক বা দুটি ডিম খাওয়া সামগ্রিক স্বাস্থ্য পরিচালনায় সহায়তা করতে পারে এবং শরীরে খুব বেশি তাপ বাড়াবে না। যাইহোক, ডায়েটে কিছু যোগ করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভাল কারণ শরীরে অতিরিক্ত তাপ হজমের সমস্যা, অস্বস্তি এবং ডায়রিয়া হতে পারে।

এপ্রিল ২৮, ২০২২

রক্তের গ্রুপ বলে দেবে আপনি কেমন প্রকৃতির মানুষ।

রক্তের গ্রুপ বলে দেবে আপনি কেমন প্রকৃতির মানুষ।

ব্লাড গ্রুপ বলে দেবে আপনি কেমন মানুষ

 মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কথা বলে শেষ করা যাবে না। তাছাড়া বাইরে থেকে দেখে কারও বৈশিষ্ট্য বোঝাও যায় না। কে কেমন চরিত্রের তা বোঝা বড়ই মুশকিল। তবে এবার গবেষকরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলেছেন যে, এবার রক্তের গ্রুপেই বলে দেবে মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অর্থাৎ কে কেমন স্বভাবের মানুষ!

পজেটিভ গ্রূপের রক্তের ইতিবাচক ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য হল: কৌতূহলী, শক্তিশালী, স্বাচ্ছন্দ্য, সৃজনশীল, দুঃসাহসিক, আবেগপ্রবণ, প্রফুল্ল, সক্রিয় এবং বহির্মুখী।

অপরদিকে নেগেটিভ ইতিবাচক আছে কিন্তু নেগেটিভ বা নেতিবাচক রক্তের ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য: বন্য, অনিয়মিত, স্বার্থপর, ক্ষমাশীল, অসহযোগী, দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং অপ্রত্যাশিত।

কথায় বলে রক্ত নাকি কথা বলে। এক গবেষণায় এই কথাটি সত্য প্রমাণিত হয়েছে। সেখানে দাবি করা হচ্ছে ব্লাড গ্রুপ কিছুটা ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রণ করে আপনি কেমন স্বভাবের মানুষ, কি কি বিশেষত্ব আছে আপনার মধ্যে! কোন ব্লাড গ্রুপের মানুষ কি ধরনের স্বভাবের অধিকারী এবার তা জানা যাক-

রক্তের গ্রুপ ‘এ’ পজেটিভ বা নেগেটিভ তারা বুদ্ধিমান অন্তর্মুখী এবং সৎ। সব কিছুতেই পারফেক্ট থাকার চেষ্টা করেন। কখনো কখনো তারা কিছুটা মানসিক চাপে থাকেন। তারা সহজে কাউকে বিশ্বাসও করতে পারেন না। 

এবি গ্রুপের রক্তের গ্রুপ যেমন মিশ্র তাদের বৈশিষ্ট্যও মিশ্রই হবে। এরা অন্তর্মুখী এবং বহির্মুখী উভয়ই হতে পারে। উচ্চাভিলাষী ও চিন্তাশীল বলে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ পছন্দ করেন তারা। তবে কখনো কখনো এমন মানুষেরা দ্বিমুখী আচরণ করে থাকেন।  

এ-বি-এবি তো জানা হলো এবার ‘ও’রা কেমন? যাদের রক্তের গ্রুপ‘ও’তারা আত্মবিশ্বাসী ও হাসি-খুশি প্রকৃতির হয়ে থাকেন, এরা কর্মঠ। তবে অন্যের প্রতি উদাসীনতাও দেখা যায় মাঝে মাঝে।  

সৃজনশীল, কৌতূহলী এবং সক্রিয় হয়ে থাকেন ‘বি’ গ্রুপের মানুষ। তারা যত্নশীল ও মানসিকভাবে অনেক শক্ত প্রকৃতির হয়ে থাকেন। তবে এই গ্রুপের মানুষদের স্বভাবে কিছুটা স্বার্থপরতা থাকতে পারে।

এপ্রিল ২৫, ২০২২

পেয়ারার পুষ্টিগুন ও উপকারিতা।

পেয়ারার পুষ্টিগুন ও উপকারিতা।

 

পেয়ারা, পেয়ারার ছবি, পেয়ারা পাতার উপকারিতা, পেয়ারার ইংরেজি কি, পেয়ারার পুষ্টিগুন।

পেয়ারার পুষ্টিগুন:

  • পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি রয়েছে। পেয়ারায় ভিটামিন-সি পরিমাণ ১৮০ মিলিগ্রাম যা কমলালেবুর তুলনায় ৫ গুণ বেশি।
  • পেয়ারায় ভিটামিন-এ ও ভিটামিন-বি কমপ্লেক্সও রয়েছে। এবং রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন। সেই সঙ্গে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ফলিক অ্যাসিড এবং নিকোটিনিক অ্যাসিড।
  • পেয়ারা শরীরের সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম এর ব্যালান্স বাড়ায়, যা কিনা ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করে।

ভিটামিন, মিনারেল (১০০ গ্রাম), ক্যালরি ৭, ভিটামিন-এ ২৫০ আই ইউ, থিয়ামিন ০.০৭ গ্রাম, নিয়াসিন ১.২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-সি ৩০২ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩০ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২৯ মিলিগ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ১৭.১ গ্রাম, প্রোটিন ১ গ্রাম।

তাজা পেয়ারা:

  • রুম টেম্পারেচারে পেয়ারা রাখুন।
  • পাকা পেয়ারা পেপার বা প্লাস্টিক ব্যাগে রেফ্রিজারেটরে স্টোর করলে দু’দিন পর্যন্ত ভালো থাকে।
  • পেয়ারার জুস এয়ার টাইট ও ভেপার প্রুফ পাত্রে রাখুন।
  • পেয়ারার রং হালকা হলুদ হলে ও কড়া গন্ধ থাকলে বুঝবেন, ওটা পাকা পেয়ারা। পেয়ারা কেনার সময় খেয়াল রাখবেন, পেয়ারার রং যেন সুন্দর থাকে। খুব বড় বা খুব ছোট আকারের পেয়ারার পরিবর্তে মাঝারি আকারের পেয়ারা কিনুন।
  • পেয়ারার গায়ে যেন কোনো কালো দাগ না থাকে। ওগুলো পেয়ারার পচন শুরুর দাগ। পাকা পেয়ারায় সুন্দর গন্ধ বেরোয়। হাত দিয়ে টিপলে পাকা পেয়ারা সামান্য গর্ত হবে। 

রোগ উপশমে পেয়ারা:

  • হাই ব্লাডপ্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। অনেক দিন ধরে মেনস্ট্রুয়েসন-এর সমস্যায় পেয়ারা উপকারী।
  • রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখে। হার্টের সমস্যায় ভুগলে পেয়ারা খেতে পারেন। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতেও পেয়ারা খেতে পারেন। পেয়ারায় উপস্থিত ভিটামিন-সি সক্রিয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং হার্টের অসুখ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় পেয়ারা।
  • অ্যাজমা, স্কার্ভি, ওবিসিটি ইত্যাদি অসুখের ক্ষেত্রেও পেয়ারা উপকারী। ডায়াবেটিসতো বটেই, ক্যান্সার এমন কি প্রস্টেট ক্যান্সারের মতো রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে পেয়ারা। কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার সমৃদ্ধ পেয়ারা ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
  • পেয়ারা পাতার জুস গ্যাস্ট্রোনটেস্টিনাল সমস্যায় উপকারী। কারণ, পেয়ারা পাতায় রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এ ছাড়া পেয়ারা পাতা ওজন কমাতে সাহায্য করে। পেয়ারা পাতার জুস সর্দি-কাশি উপশমে সাহায্য করে। আয়রন ও ফাইবারে সমৃদ্ধ পেয়ারা কনস্টিপেশন সারাতে উপকারী। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ পেয়ারা ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রুখতে সাহায্য করে। একই কারণে অনেক বডি লোশন বা ফেস ক্রিমের উপাদানে পেয়ারা থাকে। বয়সের সঙ্গে জড়িত নানা রোগ, যেমন: অ্যালজাইমার, ছানি, রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদানে সমৃদ্ধ পেয়ারা ডিসেন্ট্রি প্রতিরোধ করে।

এপ্রিল ১৯, ২০২২

বিশ্বনবীর হাতে লাগানো আজওয়া খেজুরের উপকারিতা এবং এর ইতিহাস।

বিশ্বনবীর হাতে লাগানো আজওয়া খেজুরের উপকারিতা এবং এর ইতিহাস।

ajwa date আজওয়া খেজুর

 আজওয়া খেজুর আকারে বেশ ছোট, কালো রঙের আস্তরণে আবৃত দেখতে প্রায় কালো জামের মতো। তবে অত্যান্ত সুস্বাদু পুষ্টিকর ও মানসম্মত। আমাদের প্রানের প্রিয় রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সর্বপ্রথম নিজ হাতে আজওয়া খেজুর বীজ রোপণ করেছিলেন।


তবে এই খেজুরের জন্মের পিছনে রয়েছে বিশেষ এক কারন। হযরত সালমান ফারসী (রাঃ) ছিলেন একজন কৃতদাস, একদিন তিনি তার দাসত্ব থেকে মুক্তি চাইলেন তার মালিকের কাছে। তার মালিক ছিলেন একজন ইহুদি। তখন তার সেই মালিক তাকে শর্ত দেয় নির্দিষ্ট কয়েকদিনের মধ্যে তাকে ৪০ আউন্স স্বর্ণ দিতে হবে সেই সাথে ৩০০টি খেজুর গাছ রোপণ করে সেখানে খেজুর ফলাতে হবে। যদি এই শর্ত তিনি মেনে নেন তবেই দাসত্ব থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হবে। কিন্তু এত কম সময়ে এত অর্থ জোগান করা আর খেজুর ফলানো প্রায় অসম্ভব ছিল।


এরপর সালমান ফারসী (রাঃ) মহানবীর দরবারে এসে ঘটনার বর্ননা করলেন। তারপর হযরত আলী (রাঃ) কে সাথে নিয়ে মহানবী (সাঃ) গেলেন ঐ ইহুদির কাছে। ইহুদি এক কাঁদি খেজুর দিয়ে বললেন এই খেজুর থেকে চারা উৎপন্ন করে ফল ফলাতে হবে। মহানবী দেখলেন ইহুদির দেওয়া সেই খেজুর গুলো আগুনে পুড়িয়ে কয়লা করে ফেলেছে যাতে চারা না গজায়। তিনি আলী (রাঃ) কে গর্ত করতে বললেন আর সালমান ফারসী (রাঃ) কে বললেন পানি আনতে। আলী (রাঃ) গর্ত করলে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নিজ হাতে প্রতিটি গর্তে সেই পোড়া খেজুরের বীজ রোপণ করলেন। পরে তিনি সালমান ফারসী (রাঃ) কে সেই গর্তে পানি দিতে বলেন। আর একই সাথে নির্দেশ দেন বাগানের শেষ প্রান্তে যাওয়ার আগ পর্যন্ত যেন তিনি পিছে ফিরে না তাকান।


রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কথা মতো সালমান ফারসী (রাঃ) তালা বাগানের শেষ প্রান্তে যাওয়ার পর পিছনে ফিরে তাকালেন। তাকিয়ে তিনি দেখলেন যে প্রতিটি গাছ খেজুরে পরিপূর্ণ। আর খেজুর গুলো পেকে কালো রঙের হয়ে গিয়েছে।


এছাড়া সহি আল বুখারীতে উল্লেখ রয়েছে সালমান ফারসী (রাঃ) বলেছেন আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছি যে ব্যক্তি ভোরে ৭টি আজওয়া খেজুর খাবে সেদিন কোন বিষ ও যাদু টোনা তার ক্ষতি করতে পারবে না।


এদিকে বিজ্ঞানের তথ্য মতে আজওয়া খেজুরে আছে আমিষ, শর্করা, প্র‍য়োজনীয় খাদ্য আঁশ ও স্বাস্থ্য সম্মত ফ্যাট। এছাড়া ভিটামিন-এ, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি দ্বারা ভরপুর। ভিটামিন-এ এর গুরুত্ব উপাদান ক্যারোটিনও রয়েছে এতে।

এপ্রিল ১৬, ২০২২

আনারসের উপকারিতা।

আনারসের উপকারিতা।

আনারস, আনারসের উপকারীতা। pineapple

 পুষ্টিগুণ:

পুষ্টির অভাব দূর করে আনারস, পুষ্টির বেশ বড় একটি উৎস। আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফসফরাস। এসব উপাদান আমাদের দেহের পুষ্টির অভাব পূরণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।


ঔষধিগুণ:

 • আনারস খাওয়ার ফলে অনেক নারী ও পুরুষের দেহে অ্যালার্জী দেখা দিতে পারে। আনারস খাওয়ার ফলে অ্যালার্জীর উপসর্গ হল ঠোঁট ফুলে যাওয়া ও গলায় সুরসুরি বোধ হওয়া।তাই আনারস খাওয়ার আগে তা কেটে লবণ পানি দিয়ে ধুয়ে নেয়া উচিত। এভাবে ধুয়ে নিয়ে খেলে কোন সমস্যা হওয়ার সম্ভবনা থাকেনা।

 • আনারসের কারণে নারীদের গর্ভপাত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। গর্ভাবস্থায় থাকলে নারীদের আনারস খেতে বারণ করা হয়। তাছাড়া গর্ভাবস্থার পরে চাইলে আনারস খেতে পারেন কিন্তু শরীরের অবস্থা বুঝে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।


ব্যবহার:

জ্যাম-জেলি তৈরি করা যায়।


আনারসের গুণাবলী জানার আগে আসুন আনারসের জন্ম পরিচয়টা জেনে নেই। প্রকৃতি বিজ্ঞানীদের মতে, সুদূর ব্রাজিল আনারসের জন্মভূমি। পরের গন্তব্য ছিল ইউরোপে। ক্রিষ্টোফার কলম্বাসের হাত ধরে ইউরোপে এসেছিল আনারস। সেখান থেকে পাড়ি দেয় আমাদের এশিয়ার দিকে। এবং নিজ গুনেই আনারস দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।


এক গবেষনায় দেখা গেছে আনারসের মধ্যে আছে এক ধরনের এ্যানজাইম। যা কাজ করে প্রদাহ নাশক হিসেবে। আছে প্রচুর ভিটামিন আর মিনারেল। সর্দি, কাশি ও গলা ব্যথায় আনারস এক মোক্ষম অস্ত্র। জ্বরেরও খুব ভালো ওষুধ আনারস। আর আনারস হজমেও সাহায্য করে। পাকা আনারস শরীরের জন্য খুব ভালো। সতেজ আনারস দেহের জন্য উপকারী।


এই আনারসের খ্যাতি রয়েছে সারা বিশ্বে। ব্রংকাইটিসে পথ্য হিসেবে আনারস ব্যবহার করে মেক্সিকানরা। আবার ভেনিজুয়েলার বাসিন্দারা গলা ব্যথায় ঔষধের বিকল্প হিসেবে খেয়ে থাকে। ব্রাজিলিয়ানরাও কিন্তু দারুন ভক্ত আনারসের। নাক দিয়ে একটু পানি গড়ালেই ফুটবল আমুদে এই ব্রাজিলিয়ানরাও খেয়ে নেয় গাদা গাদা আনারস। এক নজরে জেনে নেই আনারসের গুনাগুন-


• ডেসার্ট হিসেবে খাবার শেষে আনারস খেতে পারেন। আনারস হজমে সাহায্য করে। সঙ্গে শরীরের অন্য অঙ্গগুলোকেও ভালো রাখে।

• যাদের দীর্ঘদিনের কোষ্ঠ কাঠিন্য আছে তা দূর করতে সাহয়তা করে আনারস।

• আনারস ক্ষুধা বর্ধক হিসেবে কাজ করে। তাই যে কোন অসুস্থ্যতার পরে মুখে রুচির জন্য আনারস খেতে পারেন।

• কৃমিনাশের জন্য আনারস অতি উওম। ইন্টেসটাইনের কৃমি প্রতিরোধে আনারস কার্যকারী।

• শরীর ব্যথা কিংবা জ্বরের পথ্য হিসেবেও আনারাসের তুলনা মেলা ভার।

এপ্রিল ১০, ২০২২

আমের গুনাগুন ও উপকারিতা।

আমের গুনাগুন ও উপকারিতা।

 

আমের গুনাগুন বা উপকারিতা।

গ্রীষ্মকালীন ফলের মধ্যে আম অন্যতম। আম একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় সুস্বাদু ফল। স্বাদে, গন্ধে, বর্ণে ও পুষ্টিগুণে আমের বিকল্প নেই। কাঁচা পাকা আমের পাশাপাশি এর গাছের পাতারও আছে বেশ কিছু গুনাগুন। আসুন তা জেনে নেওয়া যাক-


• আমের মধ্যে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কিনা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। স্তন, লিউকেমিয়া, কোলন সহ প্রোস্টেট ক্যান্সারকেও প্রতিরোধে সহায়তা করে আম। এতে প্রচুর এনজাইমও পাওয়া যায়।


• ওজন বাড়াতে খেতে পারেন বেশি পরিমানে আম। মজার ব্যাপার হল ওজন বাড়লেও কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমে যায় আম খেলে। আমে আছে উচ্চ পরিমানে ভিটামিন সি, সেই সাথে আরো আছে ফাইবার ও ফলের শাঁস যা সিরাম কোলেস্টরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়, বিশেষ করে রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টরল যেমন কম ঘনত্বের লাইপোপ্রটিন এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।


• আম ত্বকের যত্নেও অনেক উপকারি। ভেতর ও বাইরে থেকে উভয়ভাবেই ত্বককে সুন্দর রাখতে সাহায্য করে আম। ত্বকের লোমের গোড়া পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে আম, ফলে ব্রনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।


• আম চোখের জন্যও অনেক উপকারী। আপনি কি জানেন যে এক কাপ আম আপনার দৈনন্দিনের ভিটামিন এ এর চাহিদার প্রায় পঁচিশ শতাংশের যোগান দিতে পারে? ভিটামিন এ চোখের জন্য খুবই উপকারী। এটি চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং রাতকানা রোগ হওয়া থেকে রক্ষা করে।


• সেই সাথে এই ফলে পাওয়া যায় টারটারিক এসিড, ম্যালিক এসিড ও সাইট্রিক এসিড যা শরীরে অ্যালকালাই বা ক্ষার ধরে রাখতে সহায়তা করে অনেকাংশেই।


• মজার কথা হল ডায়াবেটিস রোগীদের আম খেলে সুগার বেড়ে যাবার প্রবণতা থাকলেও আম গাছের পাতা কিন্তু রক্তে সুগারের পরিমান কমিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে। এজন্য কিছু আম পাতা নিয়ে ভাল করে পানিতে জ্বাল দিয়ে সারা রাত রেখে দিন। পরদিন সকালে উঠে এই পানি পান করুন। এই পানি সাহায্য করবে আপনার রক্তে সুগারের পরিমান ঠিক রাখতে।


• অনেকের এই ধারনা আছে যে, ফলমূলের মাঝে শুধুমাত্র পেঁপেই হজমশক্তির জন্য ভাল। কিন্তু না, পেঁপের মত আমেও আছে প্রয়োজনীয় এনজাইম যা শরীরের প্রোটিন অণুগুলো ভেঙ্গে ফেলতে সাহায্য করে যা হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।


• এছাড়াও আমে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি। সেই সাথে আছে প্রায় ২৫ রকমের বিভিন্ন কেরাটিনোইডস যা আপনার ইমিউন সিস্টেমকে রাখবে সুস্থ ও সবল।


এপ্রিল ০৯, ২০২২

ইফতারে তরমুজের উপকারী ও ক্ষতিকর দিকগুলো জেনে নিন।

ইফতারে তরমুজের উপকারী ও ক্ষতিকর দিকগুলো জেনে নিন।

ইফতার তরমুজ উপকারী ও ক্ষতি দিক সমূহ। watermelon.

এই গরমের সুস্বাদু মিষ্টি এবং রসালো তরমুজের আনন্দ নিন, আপনার মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছাকে পূরণ করতে তরমুজ খেতে পারেন। গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে তরমুজের জুড়ি মেলা ভার। তরমুজের নানান রকম উপকারিতা রয়েছে। এই ফলে শতকরা প্রায় ৯২ ভাগ পানি আছে। তাই তরমুজ খেলে সহজেই পানির তৃষ্ণা মেটে।


তরমুজের উপকারীতা:

• ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে তরমুজের কোন বিকল্প নেই।

• এতে উপস্থিত ফাইবার আমাদের দেহে খারাপ কোলেস্টরেলের মাত্রা কমাতে পারে এবং পরিপাকতন্ত্র কে রক্ষা করে।

• তরমুজের লাইকোপিন ভরপুর থাকায় এটি হার্টকে সুরক্ষিত রাখে, লিবিডো বাড়িয়ে তোলে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

• তরমুজে উপস্থিত প্রাকৃতিক রঞ্জক বিটা-ক্রিপ্টো জ্যানথিন অস্টিওপোরোসিস রুখতে সাহায্য করে।

• তরমুজে থাকে ভিটামিন-এ যা চোখ এবং ত্বকের জন্য ভালো।

• এটি মূত্রবর্ধক হিসেবে উপকারী এবং দেহ থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে।

• তরমুজের ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১ শরীরেএনার্জি তৈরিতে সাহায্য করে। এর ভিটামিন সি কোলাজেন গঠনে সাহায্য করে।

• তরমুজে আরও আছে পটাশিয়াম, যা উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকিও কমায়। পটাশিয়াম শরীরে ফ্লুইড ও মিনারেলসের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

 • প্রতিদিন দুই কাপ পরিমাণ তরমুজ খেলে শরীরে ৩০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি-র চাহিদা মেটে এবং ২ কাপতরমুজে ৩৫০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম পাওয়া যায়। পরিমাণে কম হলেও তরমুজে সোডিয়াম রয়েছে।


অতিরিক্ত তরমুজ খেলে যেসব ক্ষতি হতে পারে:

হজমের সমস্যা: লাইকোপিন নামক রাসায়নিক এর কারণে তরমুজের রং উজ্জ্বল এবং গাঢ় হয়। লাইকোপিন একপ্রকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা অতিরিক্ত শরীরে গেলে হজমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

ডায়াবেটিসের মাত্রা বৃদ্ধি: তরমুজ একটি স্বাস্থ্যকর ফল কিন্তু এতে শর্করার পরিমাণ খুবই বেশি। তাই প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ তরমুজ খেলে ডায়াবেটিসের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।

লিভারের ক্ষতিসাধন: নিয়মিত মদ্যপান করেন যারা তাদের জন্য তরমুজ একেবারে স্বাস্থ্যকর নয়। কারণ, তরমুজের রাসায়নিক উপাদান লাইকোপিন অ্যালকোহল এর সঙ্গে মিশে লিভারের ক্ষতি সাধন করে।

কিডনির সমস্যা: বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, অতিরিক্ত তরমুজ খেলে শরীরে পানির পরিমান অনেক গুন বেড়ে যায়। ফলে ওভার হাইড্রেশন হয়। তাই কিডনির নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। শরীরও আনেক সময় দুর্বল হয়ে যায়।

হার্টে সমস্যা: তরমুজ থাকে অনেক পরিমাণ পটাশিয়াম, এই খনিজ উপাদান আমাদের হার্ট ভালো রাখে, পেশী শক্তি বাড়ায়, হাড়ের গঠন মজবুত করে। কিন্তু, অতিরিক্ত পটাশিয়াম শরীরলে গেলে হ্রদ রোগের ঝুঁকি বাড়ে। পালস রেট বেড়ে যায়।


এপ্রিল ০৩, ২০২২

রোজা বা সাওম পালনের উপকারিতা।

রোজা বা সাওম পালনের উপকারিতা।

রোজা বা সাওম

রোজা বা সাওম ইসলাম ধর্মের পাঁচটি মূল ভিত্তির তৃতীয়। সুবহে সাদেক বা ভোরের সূর্যের আলো থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার, পাপাচার যাবতীয় ভোগ-বিলাস থেকে বিরত থাকার নাম রোযা।


হাদিসে রোজার বর্ননা: রাসুলুল্লাহ (সা.) হাদিসে কুদসিতে বর্ণনা করেন, মহান আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, রোজা আমার জন্য এবং আমি নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দান করব।

হযরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, রমজান উপস্থিত হলে জান্নাতের দ্বারসমূহকে উন্মুক্ত করা হয়, দোজখের দ্বারসমূহকে রুদ্ধ করে দেওয়া হয়, আর সকল শয়তানকে করা হয় আবদ্ধ। (বুখারী: ১৮৯৯)

চিকিৎসা বিজ্ঞানে রোজা: ব্লাড সুগার ও রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ করে, রমজানে রোজা রাখার অন্যতম সুবিধা হলো এটি আপনার রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। রোজা আপনার গ্লুকোজকে ভেঙে দেয় যাতে শরীর শক্তি পেতে পারে যা ইনসুলিনের উৎপাদন হ্রাস করে।

বিভিন্ন প্রকারের প্রদাহ দূর করে থাকে, রমজানে রোজা রাখার আরেকটি শারীরিক সুবিধা হলো এটি প্রদাহজনিত রোগ এবং অ্যালার্জির সারাতে সহায়তা করে। প্রদাহজনিত রোগের কয়েকটি উদাহরণ হলো- আর্থারাইটিস এবং ত্বকের রোগ যেমন সোরিয়াসিস। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, রোজার ফলে আলসারেটিভ কোলাইটিসের মতো প্রদাহজনক পেটের রোগ নিরাময়ের উন্নতি হতে পারে।

ভারতের নেহেরু গান্ধী গোটা জীবন রোজায় অভ্যস্থ ছিলেন। তিনি তার অনুসারীদেরকে বলেন, “রোজার মাধ্যমে আত্মসংযম বাড়ে এবং মানবাত্মা পবিত্রতা অর্জন করে।”
ডা. আর ক্যাম ফোর্ডের মতে, “রোজা হচ্ছে পরিপাক শক্তির শ্রেষ্ঠ সাহায্যকারী।”
ডা. এম. কাইভ বলেন, “রোজা রাখলে শ্লেষ্মা ও কফজনিত রোগ দূরীভূত হয়।”
ডা. ফ্রাঙ্কলিন বলেছেন, “রোজা স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী; তবে ইফতারিতে বেশি খাওয়া ক্ষতিকর।”
১৯৫৮ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ডা. গোলাম মুয়াযযম সাহেব কর্তৃক “মানব শরীরের উপর রোজার প্রভাব” সম্পর্কে যে গবেষণা চালানো হয়, তাতে প্রমাণিত হয় যে, রোজার দ্বারা মানব শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না, কেবল ওজন সামান্য কমে। তাও উল্লেখযোগ্য কিছু নহে, বরং শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে এরূপ রোজা আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের খাদ্য নিয়ন্ত্রণ (Dietcontrol) অপেক্ষা বহুদিক দিয়েই শ্রেষ্ঠ। ১৯৬০ সালে তাঁর গবেষণায় প্রমাণিত হয় যে, যারা মনে করে রোজা দ্বারা পেটের শূলবেদনা বেড়ে যায়, তাদের এ ধারণা নিতান্তই অবৈজ্ঞানিক। কারণ উপবাসে পাকস্থলীর এসিড কমে এবং খেলেই এটা বাড়ে। এ অতি সত্য কথাটা অনেক চিকিৎসকই চিন্তা না করে শূলবেদনার রোগীকে রোজা রাখতে নিষেধ করেন। তবে রোজা দ্বারা কোনো কোনো মানুৃষ কিছুটা খিটখিটে মেজাজী হয়। এর কারণ সামান্য রক্ত শর্করা কমে যায় যা স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেই ক্ষতিকর নয়। অন্যকোন সময় ক্ষিদে পেলেও এরূপ হয়ে থাকে।