সর্বশেষ

মার্চ ১৭, ২০২৪

অক্টোবর ০৩, ২০২৩

 খুলনায় পৌনে ৩ লাখ টাকার জাল নোটসহ আটক ২

খুলনায় পৌনে ৩ লাখ টাকার জাল নোটসহ আটক ২

খুলনায় পৌনে ৩ লাখ টাকার জাল নোটসহ আটক ২

খুলনা মোহাম্মদ নগরে ২ লাখ ৭৪ হাজার টাকার জাল নোটসহ দুইজনকে আটক করেছে র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান র‍্যাব-৬। গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলো, ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানার আলী খানের ছেলে আব্দুর রহিম খান (৪৭) এবং বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার আনোয়ার হোসেনের ছেলে রানা মজুমদার (৪৮)।

বুধবার দিবাগত রাত ২টায় লবণচর থানার মোহাম্মদ নগর এলাকার মেইন রোড সংলগ্ন একটি বাড়ির সামনে অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব। সোমবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
র‍্যাব জানায়, একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘ দিন যাবত অবৈধ লাভের আশায় জাল টাকা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, ঘটনার সত্যতা যাচাই ও আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‍্যাব-৬ এর একটি আভিযানিক দল শুরু করে এবং সংঘবদ্ধ চক্রটিকে গ্রেফতারের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা তৎপরতা পরিচালনা করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ও সিম কার্ড জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মালামাল ও গ্রেফতারকৃত আসামিদের লবণচরা থানায় হস্তান্তর করে মামলা রুজু করা হয়েছে।

অক্টোবর ০২, ২০২৩

বিশ্বকাপের ম্যাচ কবে, কখন, কোথায়? এক নজরে বিশ্বকাপের সময়সূচী-

বিশ্বকাপের ম্যাচ কবে, কখন, কোথায়? এক নজরে বিশ্বকাপের সময়সূচী-

বিশ্বক্রিকেটের মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্ট ওয়ানডে বিশ্বকাপের ত্রয়োদশ আসর শুরু হতে আর মাত্র ২ দিন বাকি। আগামী ৫ অক্টোবর ভারতের মাটিতে শুরু হতে যাওয়া টুর্নামেন্টটিতে অংশ নিচ্ছে মোট ১০টি দল। আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে গত বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড মুখোমুখি হবে।
টুর্নামেন্টের সবকটি ম্যাচ রাউন্ড রবিন ফরম্যাটে খেলা হবে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা ৪টি দল পা রাখবে সেমিফাইনালে। এ নিয়ে তৃতীয় বারের মতো রাউন্ড রবিন ফরম্যাটে হবে বিশ্বকাপ। ১৯৯২ আসরে প্রথম এই পদ্ধতিতে খেলা হয়েছিল।
রাউন্ড রবিন নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি দলই ৯টি করে ম্যাচ খেলবে। গ্রুপপর্ব শেষে শীর্ষে থাকা দল টেবিলের চতুর্থ দলের সঙ্গে এবং দুই ও তিনে থাকা দল দুটি সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে। এরপর জয়ী দু’দল ফাইনাল খেলবে ১৯ নভেম্বর। এক নজরে দেখুন বাংলাদেশ খেলার সময়সূচী-
বিশ্বকাপের ম্যাচ বাংলাদেশ সময়সূচী

বিশ্বকাপের ম্যাচ বাংলাদেশ সময়সূচী


 বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যা যা থাকবে দেখুন।

বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যা যা থাকবে দেখুন।

বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যা যা  থাকছে

আর মাত্র তিন দিন পর শুরু হচ্ছে মাঠের লড়াই। আসর শুরুর আগে জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে, এমন গুঞ্জন থাকলেও এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানায়নি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
আগামী বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টের আয়োজক ভারত। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে মাঠে নামবে গত আসরের দুই ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। তবে এর আগে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে ৪ অক্টোবর।
এদিকে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেশ কিছু চমক রাখছে আয়োজক ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। যদিও কী কী আয়োজন থাকছে, তা নিয়ে এখনও নিশ্চুপ বিসিসিআই। তবে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে এখন। ধারণা করা হচ্ছে, দর্শকদের চমকে দিতেই এমন গোপনীয়তার চেষ্টা।
তবে পিটিসি পাঞ্জাবের সূত্রে এক প্রতিবেদনে ইনসাইডস্পোর্ট জানিয়েছে, বলিউডের বেশ কয়েকজন অভিনেতা-অভিনেত্রী ও গায়ক-গায়িকা বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পরিবেশনায় থাকবেন। এর মধ্যে গান পরিবেশনায় কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী আশা ভোসলে, গায়ক ও সংগীত পরিচালক শঙ্কর মহাদেভান, কণ্ঠশিল্পী শ্রেয়া ঘোষাল ও অরিজিত সিং থাকবেন। অন্যদিকে নাচের পরিবেশনায় রণবীর সিং ও তামান্না ভাটিয়াকে দেখা যাবে।
এ ছাড়া ভারতের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও ক্রিকেট উন্মাদনা তুলে ধরা হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। এ সময় অনুষ্ঠানে খেলোয়াড়দের প্রতিনিধি হিসেবে ১০ দলের অধিনায়ক উপস্থিত থাকবেন।
অনুষ্ঠান শুরু হবে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায়। একই মাঠে পরের দিন মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড। ওই ম্যাচের টিকিট দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারবেন দর্শকরা।
এদিকে রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে বিশ্বকাপের বাকি ৯ দলের বিপক্ষে ৯টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
বৈশ্বিক এই আসরে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ আফগানিস্তানের বিপক্ষে। ৭ অক্টোবর বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় ধর্মশালায় আফগানদের বিপক্ষে মাঠে নামবে সাকিব-লিটনরা। এরপর একে একে ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে তারা।
 মেক্সিকোয় গির্জার ছাদ ধসে ৭ জন নিহত।

মেক্সিকোয় গির্জার ছাদ ধসে ৭ জন নিহত।

মেক্সিকোয় গির্জার ছাদ ধসে ৭ জন নিহত

মেক্সিকোতে একটি গির্জার ছাদ ধসে ৭ জন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও ২০ জন আটকা পড়ে আছে। আজ রোববার দেশটির তামাউলিপাস প্রদেশে এ ঘটনা ঘটে বলে বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় সেখানে ব্যাপ্টিজম অনুষ্ঠান চলছিল। পুলিশের তথ্যমতে, তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ১০০ জন। সিউদাদ মাদেরোর সান্তা ক্রুজ গির্জার ছাদ ধসে পড়ার পরে ৪৯ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আটকে পড়াদের মধ্যে বেশ কয়েকটি শিশুও রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং তাদের উদ্ধারে তৎপরতা চলছে।
সামাজিক প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ছবিতে দেখা গেছে, আশপাশের লোকজন ধ্বংসস্তূপের চারপাশে ভিড় করে ভেতরে আটকা পড়া মানুষদের উদ্ধারে মরিয়া হয়ে কাজ করছে। ধ্বংসস্তূপ সরানোর চেষ্টা করতে তারা বেলচা ও কুঠার নিয়ে হাজির হয়েছে। রোববার বিকেলের এই ধসের পরে জরুরি পরিষেবার দলগুলোও ঘটনাস্থলে হাজির হয়।
ঘটনাস্থলে জড়ো হওয়া মানুষকে নীরব থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে যাতে ভেতরে আটকে পড়াদের কেউ সাহায্যের জন্য ডাকছে কি না তা শোনা সম্ভব হয়।
ট্যাম্পিকোর ডায়োসিসের বিশপ হোসে আরমান্দো আলভারেজ ক্যানো সামাজিক প্ল্যাটফর্মে বলেছেন, ‘ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা লোকদের খুঁজে বের করার কাজ চলছে।’ তিনি বলেন, এটি বেশ ‘কঠিন সময়’। এ ছাড়া ভিডিও বার্তার শেষে তিনি বলেন, ‘প্রভু আপনাদের সাহায্য করুন।’

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৩

আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন।

আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন বৃহস্পতিবার দেশের দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর)। তিনি ১৯৪৭ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের মধুমতি নদী বিধৌত টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছার জ্যেষ্ঠ সন্তান এবং আওয়ামী লীগের সভাপতি তিনি। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী জন্মদিনে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। প্রধানমন্ত্রী তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে গত ২২ সেপ্টেম্বর অন্যান্য বিশ্বনেতাদের অংশগ্রহণে ইউএনজিএর সাধারণ আলোচনায় অন্যান্য বছরের মতো বাংলায় ভাষণ দেন। সেখানে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করে। জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল তৈরির জন্য জাতিসংঘ স্বীকৃতির পরিপ্রেক্ষিতে তাকে এই বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। ব্রাউন ইউনিভার্সিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ওয়ারেন অ্যালপার্ট মেডিকেল স্কুলের মেডিসিন অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল সায়েন্সের ডিন ডা. মুকেশ কে. জৈন এখানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার অবস্থানস্থল দি লোটে নিউইয়র্ক হোটেলে প্রশংসাপত্রটি হস্তান্তর করেন। কমিউনিটি ক্লিনিক মডেলের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য জাতিসংঘ প্রধানমন্ত্রীকে স্বীকৃতির প্রদান করায় ব্রাউনের ওয়ারেন অ্যালপার্ট মেডিকেল স্কুল তাকে এই বিশেষ সম্মাননা প্রদান করে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের একজন সফল প্রধানমন্ত্রী। চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে একটি রোল মডেল হিসেবে পরিচিত করেছেন। সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনেও তিনি বিশ্বনেতাদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতায় পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদের আশ্রয় দিয়ে সারা বিশ্বে হয়েছেন প্রশংসিত। বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি, একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য সম্পন্ন করা, সংবিধান সংশোধনের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি এবং সমুদ্রে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ব্লু ইকোনমির নতুন দিগন্ত উন্মোচন, ভারতের সঙ্গে সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন ও ছিটমহল বিনিময়, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট সফল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে মহাকাশ জয়, সাবমেরিন যুগে বাংলাদেশের প্রবেশ, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু ও মেট্রোরেল নির্মাণ, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, নতুন নতুন উড়াল সেতু, মহাসড়কগুলো ফোর লেনে উন্নীত করা, এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত, দারিদ্র্যের হার হ্রাস, মানুষের গড় আয়ু প্রায় ৭৪ বছর ৪ মাসে উন্নীত, যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন, সাক্ষরতার হার ৭৫.৬০ শতাংশে উন্নীত করা, বছরের প্রথম দিনে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে নতুন বই পৌঁছে দেওয়া, মাদ্রাসা শিক্ষাকে মূলধারার শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত করা ও স্বীকৃতি দান, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, প্রত্যেকটি জেলায় একটি করে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ, নারী নীতি প্রণয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ, ফাইভ-জি মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহার চালুসহ অসংখ্য ক্ষেত্রে কালোত্তীর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেন, ‘আমরা যেমন বলি বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তেমনই শেখ হাসিনার জন্ম না হলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণের কাজ জাতি চোখে দেখতো না। শেখ হাসিনার জন্মের সফলতা ও স্বার্থকতা কর্মের মধ্য দিয়ে।’ দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার জন্মদিন বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। বঙ্গবন্ধু আমাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতার রোল মডেল। শেখ হাসিনা আমাদের উন্নয়ন এবং অর্জনের রোল মডেল। তিনি নিজে যা অর্জন করেছেন, তা নজিরবিহীন। বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে বিশেষ মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। তার জন্মদিন পালন না করলে আমরা জাতির কাছে অকৃতজ্ঞ থেকে যাব।’ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রবক্তা স্বপ্নদর্শী এই নেতা ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব গ্রহণের পর থেকে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে দলকে সুসংগঠিত করেন এবং ১৯৯৬ সালে প্রথম, ২০০৮ সালে দ্বিতীয় এবং ২০১৪ সালে তৃতীয় এবং ২০১৮ সালে চতুর্থ বারের মত নির্বাচনে জয়লাভ করে দলকে দেশের নেতৃত্বের আসনে বসাতে সক্ষম হন। দাদা শেখ লুৎফর রহমান ও দাদি সাহেরা খাতুনের অতি আদরের নাতনি শেখ হাসিনার শৈশব-কৈশোর কেটেছে টুঙ্গিপাড়ায়। শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রেহানা এবং শেখ রাসেলসহ তারা পাঁচ ভাই-বোন। বর্তমানে শেখ হাসিনা ও রেহানা ছাড়া কেউই জীবিত নেই। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে পিতা বঙ্গবন্ধু এবং মাতা ফজিলাতুন নেছাসহ সবাই ঘাতকদের নির্মম বুলেটে নিহত হন। শেখ হাসিনার শিক্ষাজীবন শুরু হয়েছিল টুঙ্গিপাড়ার এক পাঠশালায়। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে পরিবারকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। তখন পুরনো ঢাকার রজনী বোস লেনে ভাড়া বাসায় ওঠেন তারা। বঙ্গবন্ধু যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভার সদস্য হলে সপরিবারে ৩ নম্বর মিন্টু রোডের বাসায় তারা বসবাস শুরু করেন। শেখ হাসিনাকে ঢাকা শহরে টিকাটুলির নারী শিক্ষা মন্দিরে ভর্তি করা হয়। এখন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি শেরেবাংলা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ নামে খ্যাত। শুরু হয় তার শহর বাসের পালা। তিনি ১৯৬৫ সালে আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, ১৯৬৭ সালে ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজ (বর্তমান বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়) থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেন। ওই বছরেই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্সে ভর্তি হন এবং ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। বঙ্গবন্ধুর আগ্রহে ১৯৬৮ সালে পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনার বিয়ে হয়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের করাচিতে নিয়ে যাওয়ার পর গোটা পরিবারকে ঢাকায় ভিন্ন এক বাড়িতে গৃহবন্দী করে রাখা হয়। অবরুদ্ধ বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই শেখ হাসিনা গৃহবন্দী অবস্থায় তার প্রথম সন্তান ‘জয়’-এর মা হন। ১৯৭২ সালের ৯ ডিসেম্বর কন্যা সন্তান পুতুলের জন্ম হয়। শেখ হাসিনার পরবর্তী ইতিহাস একবিংশ শতকের অভিযাত্রায় তিনি কীভাবে বাঙালি জাতির কান্ডারি হয়েছেন তারই ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখতেন সেই স্বপ্ন রূপায়নের দায়িত্ব নিয়ে বাঙালি জাতির আলোর দিশারী হওয়ার ইতিহাস। ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। আর ওই বছরেরই ১৭ মে দীর্ঘ ৬ বছর প্রবাস জীবনের অবসান ঘটিয়ে মাতৃভূমি বাংলাদেশে ফিরে আসেন। তিনি ১৯৯০ সালের ঐতিহাসিক গণআন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে দীর্ঘ ২১ বছর পর সরকার গঠন করে এবং সে বছরের ২৩ জুন প্রথমবারের মত তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাকে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড নিক্ষেপ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়। তিনি অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেও ওই হামলায় ২৪ জন নিহত এবং ৫শ’ নেতা-কর্মী আহত হন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসন নিয়ে বিশাল বিজয় অর্জন করে। এই বিজয়ের মধ্যদিয়ে শেখ হাসিনা দ্বিতীয় বারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি তৃতীয়বার এবং ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে চতুর্থবারের মত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। শিল্প সংস্কৃতি ও সাহিত্যঅন্তপ্রাণ শেখ হাসিনা লেখালেখিও করেন। তার লেখা এবং সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩০টিরও বেশি। প্রকাশিত অন্যতম বইগুলো হচ্ছে- শেখ মুজিব আমার পিতা, সাদা কালো, ওরা টোকাই কেন, বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম, দারিদ্র্য দূরীকরণ, আমাদের ছোট রাসেল সোনা, আমার স্বপ্ন আমার সংগ্রাম, সামরিকতন্ত্র বনাম গণতন্ত্র, আর্ন্তজাতিক সর্ম্পক উন্নয়ন, বিপন্ন গণতন্ত্র, সহে না মানবতার অবমাননা, আমরা জনগণের কথা বলতে এসেছি, সবুজ মাঠ পেরিয়ে ইত্যাদি।

দেশের দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আজ ৭৭তম জন্মদিন। তিনি ১৯৪৭ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের মধুমতি নদী বিধৌত টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছার জ্যেষ্ঠ সন্তান এবং আওয়ামী লীগের সভাপতি তিনি।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী জন্মদিনে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।

প্রধানমন্ত্রী তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে গত ২২ সেপ্টেম্বর অন্যান্য বিশ্বনেতাদের অংশগ্রহণে ইউএনজিএর সাধারণ আলোচনায় অন্যান্য বছরের মতো বাংলায় ভাষণ দেন। সেখানে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করে।
জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল তৈরির জন্য জাতিসংঘ স্বীকৃতির পরিপ্রেক্ষিতে তাকে এই বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। ব্রাউন ইউনিভার্সিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ওয়ারেন অ্যালপার্ট মেডিকেল স্কুলের মেডিসিন অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল সায়েন্সের ডিন ডা. মুকেশ কে. জৈন এখানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার অবস্থানস্থল দি লোটে নিউইয়র্ক হোটেলে প্রশংসাপত্রটি হস্তান্তর করেন।
কমিউনিটি ক্লিনিক মডেলের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য জাতিসংঘ প্রধানমন্ত্রীকে স্বীকৃতির প্রদান করায় ব্রাউনের ওয়ারেন অ্যালপার্ট মেডিকেল স্কুল তাকে এই বিশেষ সম্মাননা প্রদান করে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের একজন সফল প্রধানমন্ত্রী। চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে একটি রোল মডেল হিসেবে পরিচিত করেছেন। সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনেও তিনি বিশ্বনেতাদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতায় পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদের আশ্রয় দিয়ে সারা বিশ্বে হয়েছেন প্রশংসিত। বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি, একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য সম্পন্ন করা, সংবিধান সংশোধনের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি এবং সমুদ্রে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ব্লু ইকোনমির নতুন দিগন্ত উন্মোচন, ভারতের সঙ্গে সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন ও ছিটমহল বিনিময়, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট সফল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে মহাকাশ জয়, সাবমেরিন যুগে বাংলাদেশের প্রবেশ, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু ও মেট্রোরেল নির্মাণ, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, নতুন নতুন উড়াল সেতু, মহাসড়কগুলো ফোর লেনে উন্নীত করা, এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত, দারিদ্র্যের হার হ্রাস, মানুষের গড় আয়ু প্রায় ৭৪ বছর ৪ মাসে উন্নীত, যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন, সাক্ষরতার হার ৭৫.৬০ শতাংশে উন্নীত করা, বছরের প্রথম দিনে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে নতুন বই পৌঁছে দেওয়া, মাদ্রাসা শিক্ষাকে মূলধারার শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত করা ও স্বীকৃতি দান, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, প্রত্যেকটি জেলায় একটি করে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ, নারী নীতি প্রণয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ, ফাইভ-জি মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহার চালুসহ অসংখ্য ক্ষেত্রে কালোত্তীর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেন, ‘আমরা যেমন বলি বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তেমনই শেখ হাসিনার জন্ম না হলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণের কাজ জাতি চোখে দেখতো না। শেখ হাসিনার জন্মের সফলতা ও স্বার্থকতা কর্মের মধ্য দিয়ে।
দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার জন্মদিন বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। বঙ্গবন্ধু আমাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতার রোল মডেল। শেখ হাসিনা আমাদের উন্নয়ন এবং অর্জনের রোল মডেল। তিনি নিজে যা অর্জন করেছেন, তা নজিরবিহীন। বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে বিশেষ মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। তার জন্মদিন পালন না করলে আমরা জাতির কাছে অকৃতজ্ঞ থেকে যাব।’
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রবক্তা স্বপ্নদর্শী এই নেতা ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব গ্রহণের পর থেকে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে দলকে সুসংগঠিত করেন এবং ১৯৯৬ সালে প্রথম, ২০০৮ সালে দ্বিতীয় এবং ২০১৪ সালে তৃতীয় এবং ২০১৮ সালে চতুর্থ বারের মত নির্বাচনে জয়লাভ করে দলকে দেশের নেতৃত্বের আসনে বসাতে সক্ষম হন।
দাদা শেখ লুৎফর রহমান ও দাদি সাহেরা খাতুনের অতি আদরের নাতনি শেখ হাসিনার শৈশব-কৈশোর কেটেছে টুঙ্গিপাড়ায়। শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রেহানা এবং শেখ রাসেলসহ তারা পাঁচ ভাই-বোন। বর্তমানে শেখ হাসিনা ও রেহানা ছাড়া কেউই জীবিত নেই। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে পিতা বঙ্গবন্ধু এবং মাতা ফজিলাতুন নেছাসহ সবাই ঘাতকদের নির্মম বুলেটে নিহত হন।
শেখ হাসিনার শিক্ষাজীবন শুরু হয়েছিল টুঙ্গিপাড়ার এক পাঠশালায়। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে পরিবারকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। তখন পুরনো ঢাকার রজনী বোস লেনে ভাড়া বাসায় ওঠেন তারা।
বঙ্গবন্ধু যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভার সদস্য হলে সপরিবারে ৩ নম্বর মিন্টু রোডের বাসায় তারা বসবাস শুরু করেন। শেখ হাসিনাকে ঢাকা শহরে টিকাটুলির নারী শিক্ষা মন্দিরে ভর্তি করা হয়। এখন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি শেরেবাংলা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ নামে খ্যাত। শুরু হয় তার শহর বাসের পালা।
তিনি ১৯৬৫ সালে আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, ১৯৬৭ সালে ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজ (বর্তমান বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়) থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেন। ওই বছরেই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্সে ভর্তি হন এবং ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
বঙ্গবন্ধুর আগ্রহে ১৯৬৮ সালে পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনার বিয়ে হয়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের করাচিতে নিয়ে যাওয়ার পর গোটা পরিবারকে ঢাকায় ভিন্ন এক বাড়িতে গৃহবন্দী করে রাখা হয়। অবরুদ্ধ বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই শেখ হাসিনা গৃহবন্দী অবস্থায় তার প্রথম সন্তান ‘জয়’-এর মা হন। ১৯৭২ সালের ৯ ডিসেম্বর কন্যা সন্তান পুতুলের জন্ম হয়।
শেখ হাসিনার পরবর্তী ইতিহাস একবিংশ শতকের অভিযাত্রায় তিনি কীভাবে বাঙালি জাতির কান্ডারি হয়েছেন তারই ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখতেন সেই স্বপ্ন রূপায়নের দায়িত্ব নিয়ে বাঙালি জাতির আলোর দিশারী হওয়ার ইতিহাস।
১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। আর ওই বছরেরই ১৭ মে দীর্ঘ ৬ বছর প্রবাস জীবনের অবসান ঘটিয়ে মাতৃভূমি বাংলাদেশে ফিরে আসেন। তিনি ১৯৯০ সালের ঐতিহাসিক গণআন্দোলনে নেতৃত্ব দেন।
আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে দীর্ঘ ২১ বছর পর সরকার গঠন করে এবং সে বছরের ২৩ জুন প্রথমবারের মত তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাকে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড নিক্ষেপ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়। তিনি অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেও ওই হামলায় ২৪ জন নিহত এবং ৫শ’ নেতা-কর্মী আহত হন।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসন নিয়ে বিশাল বিজয় অর্জন করে। এই বিজয়ের মধ্যদিয়ে শেখ হাসিনা দ্বিতীয় বারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি তৃতীয়বার এবং ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে চতুর্থবারের মত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
শিল্প সংস্কৃতি ও সাহিত্যঅন্তপ্রাণ শেখ হাসিনা লেখালেখিও করেন। তার লেখা এবং সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩০টিরও বেশি। প্রকাশিত অন্যতম বইগুলো হচ্ছে- শেখ মুজিব আমার পিতা, সাদা কালো, ওরা টোকাই কেন, বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম, দারিদ্র্য দূরীকরণ, আমাদের ছোট রাসেল সোনা, আমার স্বপ্ন আমার সংগ্রাম, সামরিকতন্ত্র বনাম গণতন্ত্র, আর্ন্তজাতিক সর্ম্পক উন্নয়ন, বিপন্ন গণতন্ত্র, সহে না মানবতার অবমাননা, আমরা জনগণের কথা বলতে এসেছি, সবুজ মাঠ পেরিয়ে ইত্যাদি।

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩

‘জওয়ান ২’ নিশ্চিত করলেন নির্মাতা।

‘জওয়ান ২’ নিশ্চিত করলেন নির্মাতা।

 

jawan movie, jawan poster photo

বিশ্বব্যাপী ১ হাজার কোটির ব্যবসা করেছে বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের ‘জওয়ান’। সিনেমাটির দারুণ সাফল্যের পর এবার সিক্যুয়েল তৈরির আলোচনা চলছে। ‘জওয়ান’ নির্মাতা অ্যাটলি নিশ্চিত করেছেন, তিনি ছবিটির সিক্যুয়েল বানাবেন। শুধু তাই নয়, বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান ও তামিল সুপারস্টার থালাপতি বিজয়কে নিয়েও একটি সিনেমা নির্মাণের প্ল্যান করছেন এই পরিচালক।
‘জওয়ান’ মুক্তির আগে থেকেই ‘জওয়ান ২’র কথা শোনা যাচ্ছিল। ‘জাওয়ান’ সিনেমার শেষ দৃশ্যে ইঙ্গিত দেওয়া হয়, নায়কের নতুন মিশন সুইস ব্যাংকে। সেই সূত্র ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল যে, এর দ্বিতীয় কিস্তি আসবে।
এ প্রসঙ্গে এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নির্মাতা অ্যাটলি বলেন, আমার প্রত্যেক সিনেমার শেষে এমন কল্পনাকে প্রশ্রয় দেওয়া থাকে। তবে এখনও পর্যন্ত আমি কখনও কোনও সিনেমার সিক্যুয়েল করার কথা ভাবিনি। ‘জওয়ান’র কথা যদি বলতে হয় তাহলে যদি তেমন কোনও ভাল গল্প পাই তাহলে অবশ্যই পার্ট ২-এর কথা ভাবব।
এরপরই আবার জনপ্রিয় দক্ষিণী এই নির্মাতা বলেন, ‘জওয়ান’-এ আমি ভবিষ্যতের আভাস রেখেছি। এখন অথবা পরে সিক্যুয়েল নিয়ে আসতেই পারি। আর একদিন না একদিন আমি অবশ্যই ‘জওয়ান’র সিক্যুয়েল নিয়ে আসব।
জোর গুঞ্জন ছিল, ‘জাওয়ান’ সিনেমায় থালাপতি বিজয়ের ক্যামিও থাকবে। তবে সেটা সত্য হয়নি। এ বিষয়ে নির্মাতা অ্যাটলি কুমার বলেন, বিজয় স্যারকে ক্যামিওর জন্য বলিনি, তার একটি কারণ আছে। শাহরুখ স্যার ও বিজয় স্যারের জন্য আমি কিছু একটা লিখব; তারা দুজন আমার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন। কোনও এক দিন আমি এমন স্ক্রিপ্ট তৈরি করবো, যেখানে তারা দুজনই একসঙ্গে কাজ করবেন।
এর আগে অ্যাটলি কুমার নির্মিত ‘থেরি’, ‘মেরসাল’ ও ‘বিগিল’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন থালাপতি বিজয়। তিনটি সিনেমাই দর্শকনন্দিত হয়েছিল।