খেলাধুলা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
খেলাধুলা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মার্চ ১৭, ২০২৪

অক্টোবর ০২, ২০২৩

বিশ্বকাপের ম্যাচ কবে, কখন, কোথায়? এক নজরে বিশ্বকাপের সময়সূচী-

বিশ্বকাপের ম্যাচ কবে, কখন, কোথায়? এক নজরে বিশ্বকাপের সময়সূচী-

বিশ্বক্রিকেটের মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্ট ওয়ানডে বিশ্বকাপের ত্রয়োদশ আসর শুরু হতে আর মাত্র ২ দিন বাকি। আগামী ৫ অক্টোবর ভারতের মাটিতে শুরু হতে যাওয়া টুর্নামেন্টটিতে অংশ নিচ্ছে মোট ১০টি দল। আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে গত বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড মুখোমুখি হবে।
টুর্নামেন্টের সবকটি ম্যাচ রাউন্ড রবিন ফরম্যাটে খেলা হবে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা ৪টি দল পা রাখবে সেমিফাইনালে। এ নিয়ে তৃতীয় বারের মতো রাউন্ড রবিন ফরম্যাটে হবে বিশ্বকাপ। ১৯৯২ আসরে প্রথম এই পদ্ধতিতে খেলা হয়েছিল।
রাউন্ড রবিন নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি দলই ৯টি করে ম্যাচ খেলবে। গ্রুপপর্ব শেষে শীর্ষে থাকা দল টেবিলের চতুর্থ দলের সঙ্গে এবং দুই ও তিনে থাকা দল দুটি সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে। এরপর জয়ী দু’দল ফাইনাল খেলবে ১৯ নভেম্বর। এক নজরে দেখুন বাংলাদেশ খেলার সময়সূচী-
বিশ্বকাপের ম্যাচ বাংলাদেশ সময়সূচী

বিশ্বকাপের ম্যাচ বাংলাদেশ সময়সূচী


 বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যা যা থাকবে দেখুন।

বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যা যা থাকবে দেখুন।

বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যা যা  থাকছে

আর মাত্র তিন দিন পর শুরু হচ্ছে মাঠের লড়াই। আসর শুরুর আগে জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে, এমন গুঞ্জন থাকলেও এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানায়নি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
আগামী বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টের আয়োজক ভারত। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে মাঠে নামবে গত আসরের দুই ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। তবে এর আগে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে ৪ অক্টোবর।
এদিকে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেশ কিছু চমক রাখছে আয়োজক ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। যদিও কী কী আয়োজন থাকছে, তা নিয়ে এখনও নিশ্চুপ বিসিসিআই। তবে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে এখন। ধারণা করা হচ্ছে, দর্শকদের চমকে দিতেই এমন গোপনীয়তার চেষ্টা।
তবে পিটিসি পাঞ্জাবের সূত্রে এক প্রতিবেদনে ইনসাইডস্পোর্ট জানিয়েছে, বলিউডের বেশ কয়েকজন অভিনেতা-অভিনেত্রী ও গায়ক-গায়িকা বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পরিবেশনায় থাকবেন। এর মধ্যে গান পরিবেশনায় কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী আশা ভোসলে, গায়ক ও সংগীত পরিচালক শঙ্কর মহাদেভান, কণ্ঠশিল্পী শ্রেয়া ঘোষাল ও অরিজিত সিং থাকবেন। অন্যদিকে নাচের পরিবেশনায় রণবীর সিং ও তামান্না ভাটিয়াকে দেখা যাবে।
এ ছাড়া ভারতের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও ক্রিকেট উন্মাদনা তুলে ধরা হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। এ সময় অনুষ্ঠানে খেলোয়াড়দের প্রতিনিধি হিসেবে ১০ দলের অধিনায়ক উপস্থিত থাকবেন।
অনুষ্ঠান শুরু হবে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায়। একই মাঠে পরের দিন মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড। ওই ম্যাচের টিকিট দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারবেন দর্শকরা।
এদিকে রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে বিশ্বকাপের বাকি ৯ দলের বিপক্ষে ৯টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
বৈশ্বিক এই আসরে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ আফগানিস্তানের বিপক্ষে। ৭ অক্টোবর বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় ধর্মশালায় আফগানদের বিপক্ষে মাঠে নামবে সাকিব-লিটনরা। এরপর একে একে ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে তারা।

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৩

 শ্রীলঙ্কা বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বীতা ছাড়াই শিরোপা জিতলো ভারত।

শ্রীলঙ্কা বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বীতা ছাড়াই শিরোপা জিতলো ভারত।

 

এশিয়ার রাজত্ব পুনরুদ্ধার করল ভারত ক্রীড়া প্রতিবেদক

আসর শুরুর আগের দিন স্কোয়াড ঘোষণা করেছিল শ্রীলঙ্কা। কারণ একাধিক ক্রিকেটারের চোট। বলা যায়, দ্বিতীয় সারির দল নিয়েই আসর শুরু করেছিল লঙ্কানরা। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে ততই অবাক করেছেন তারা। সেটা মাঠের পারফরম্যান্স দিয়ে। অথচ ফাইনালের বড় মঞ্চে এসে পুরো অচেনা দাসুন শানাকার দল। ঘরের মাঠে খেলতে নেমে মোহাম্মদ সিরাজের সুইং আর পেসে রীতিমতো ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি অবস্থা। ফলে কোনো রকম প্রতিদ্বন্দ্বীতা ছাড়াই শিরোপা জিতলো ভারত। এটা তাদের অষ্টম এশিয়া কাপ ট্রফি।
কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করতে নেমে লঙ্কানরা খেলতে পেরেছে কেবল ৯২ বল। এই সময়ে সবকটি উইকেট হারিয়ে তারা স্কোরবোর্ডে তুলতে পেরেছে ৫০ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৭ রান এসেছে কুশল মেন্ডিসের ব্যাট থেকে। দলের ৯ ব্যাটারই এদিন দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। ভারতের হয়ে ২১ রানে ৬ উইকেট শিকার করে সেরা বোলার মোহাম্মদ সিরাজ। ৫১ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬ ওভার ১ বলেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত।
এর আগে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৪০ মিনিট পর আজ খেলা শুরু হয়। এবারের আসরের নিয়মিত দৃশ্য বৃষ্টি প্রেমাদাসায় টসের পড়েই দেখা যায়। ফলে ম্যাচ কিছুক্ষণ দেরীতে শুরু হয়। ভারতীয় পেসার জাস্প্রিত বুমরাহ ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরান লঙ্কান ওপেনার কুশল পেরেরাকে। এরপর একে একে সাজঘরের পথ ধরে বাকি টপ অর্ডাররাও।
মোহাম্মদ সিরাজের করা চতুর্থ ওভারে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন চার টপ অর্ডার। প্রথম ওভারে কুশল পেরেরা ফিরে গেলে আসা যাওয়ার মিছিল শুরু হয়। পাথুম নিসাঙ্কা সিরাজের করা দ্বিতীয় ওভারে রবীন্দ্র জাদেজার কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
এরপর ক্রিজে দাঁড়াতেই পারেনি লঙ্কান ব্যাটাররা। সাদিরা থেকে শুরু করে চারিথ আসালঙ্কা কেউই রানের খাতা খুলতে পারেনি। হ্যাটট্রিক বলে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা চার হাঁকালে আর রেকর্ড গড়া হয়নি সিরাজের। তবে এরপর ঠিক পরের বলেই সিলভাকে সাজঘরে ফেরান ভারতীয় এই পেসার। সেই সঙ্গে এশিয়া কাপের যেকোন আসরের ফাইনালে দ্রুততম ৫ উইকেট পাওয়ার কীর্তি গড়েন মোহাম্মদ সিরাজ।
দলীয় ১২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা লঙ্কানরা লজ্জার রেকর্ড গড়তে যাচ্ছিল। কলম্বোতে অবশেষে তাই হলো। এশিয়া কাপের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড গড়েছে শ্রীলঙ্কা। সিরাজের বোলিং তোপে কোন ব্যাটারই দাঁড়াতে পারেনি।
শেষ পর্যন্ত ১৬তম ওভারে মাত্র ৫০ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার নজির গড়ল স্বাগতিকরা। ৭ ওভারে ২১ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন সিরাজ। ভারতের বিপক্ষে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ডে এটিই সবার উপরে। তার নিচে রয়েছে বাংলাদেশ, ২০১৪ সালে ৫৮ রানে অলআউট হয়েছিল টাইগাররা।
সিরাজ ৬ উইকেট নিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালের ইতিহাসে যুগ্মভাবে এক ম্যাচে সবচেয়ে উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন। এর আগে ২০০৮ সালের এশিয়া কাপের ফাইনালে অজন্তা মেন্ডিস ১৩ রানে ৬ উইকেট শিকার করেছিলেন, যা ছিল এই টুর্নামেন্টের সেরা বোলিং ফিগার।
১৫ বছর পর কলম্বোতে সেই রেকর্ডে ভাগ বসালেন সিরাজ। সেই সঙ্গে আরো একাধিক কীর্তি গড়েছেন তিনি। শুধু যে একটি রেকর্ডই গড়েছেন সিরাজ তা নয়। ভাগ বসিয়েছেন সেই ২০ বছর পুরনো রেকর্ডে। ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম সময়ে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি এতোদিন ছিল শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি পেসার চামিন্দা ভাসের।
২০০৩ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৬ বলে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ভাস। আজ দীর্ঘ ২০ বছর পর সেই রেকর্ডে নিজের নাম লিখেছেন মোহাম্মদ সিরাজ। তিনিও ১৬ বলে ৫ উইকেট নিয়ে ভাসের পাশে নিজের নাম লেখালেন।

জুন ০১, ২০২২

বর্তমানে ক্যারিয়ারের সেরা রেটিংয়ে লিটন দাস।

বর্তমানে ক্যারিয়ারের সেরা রেটিংয়ে লিটন দাস।

লিটন দাসের ছবি,বাংলাদেশ ক্রিকেট রেংকিং,বাংলাদেশ ক্রিকেট তথ্য

শেষ কিছুদিন ধরেই লিটন দাস আছেন দারুণ ছন্দে। সবশেষ শ্রীলঙ্কা টেস্টেও দুই ইনিংসে বাংলাদেশের ত্রাতারূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন তিনি। প্রথম ইনিংসে করেছিলেন সেঞ্চুরি, দ্বিতীয় ইনিংসে লড়াকু এক ফিফটিতে বাংলাদেশকে এনে দিয়েছিলেন লিড। তার এমন পারফর্ম্যান্সের পরও অবশ্য বাংলাদেশ হেরেছে। তবে ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্সের ছাপ পড়েছে র‍্যাঙ্কিংয়ে। তামিম ইকবালকে সরিয়ে বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেটিং পয়েন্টের মালিক বনে গেছেন লিটন, আর ক্যারিয়ার সেরা ১২তম অবস্থানে চলে এসেছেন তিনি।

সবশেষ প্রকাশিত আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ে দেখা গেছে, লিটনের রেটিং পয়েন্ট ৭২৪। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর চেয়ে বেশি রেটিং পয়েন্ট অর্জন করতে পারেননি আর কেউ। ২০১৭ সালের আগস্টে তামিম রেটিং পয়েন্ট অর্জন করেছিলেন ৭০৯, এতদিন পর্যন্ত এটাই রেকর্ড ছিল বাংলাদেশের, যা আজ ভাঙলেন লিটন। বাংলাদেশের হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৬৯৪ পয়েন্ট ছিল সাকিব আল হাসানের।

রেকর্ড রেটিং পয়েন্ট নিয়ে র‍্যাঙ্কিংয়েও বড় উন্নতি হয়েছে লিটনের। ১৭ থেকে ৫ ধাপ এগিয়ে বর্তমানে ১২-তে উঠে এসেছেন তিনি। এর আগে চট্টগ্রাম টেস্টের পরও র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছিল লিটনের। ২০ থেকে ১৭-তে উঠে এসেছিলেন তিনি।

লিটনের ফেলে যাওয়া ১৭তম অবস্থানে উঠে এসেছেন মুশফিক। উল্লেখ্য, এটিই তার ক্যারিয়ারসেরা। মিরপুরে ১৭৫ রানের ইনিংসের পর মুশফিক দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ২৩ রান। যার ফলে আট ধাপ উন্নতি হয় তার। ১৭তম অবস্থানে অবশ্য তিনি একা নন, নিউজিল্যান্ডের হেনরি নিকলসও আছেন একই অবস্থানে।

ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো জোড়া শূন্য নিয়ে তামিম নমে গেছেন পাঁচ ধাপ। বর্তমানে ৩২তম অবস্থানে আছেন তামিম। অবনতি হয়েছে মুমিনুল হকেরও। বর্তমানে তিনি আছেন ৬৪তম অবস্থানে। মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ফিফটি করলেও সাকিবের অবস্থানে উন্নতি হয়নি, আছেন ৪৩তম অবস্থানে।

শ্রীলঙ্কানদের মধ্যে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের উন্নতি হয়েছে আবারও। সিরিজের শেষ টেস্টে তিনি খেলেছেন অপরাজিত ১৪৫ রানের ইনিংস। তাতেই তার উন্নতি হয়ে গেছে পাঁচ ধাপ। বর্তমানে তিনি আছেন ১৫তম স্থানে। চার বছর পর সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া দীনেশ চান্দিমালও উন্নতি করেছেন। ৯ ধাপ এগিয়ে তিনি আছেন ৪৪ তম অবস্থানে। শীর্ষস্থানে অবশ্য কোনো হেরফের হয়নি। মার্নাস লাবুশেন, স্টিভেন স্মিথ, কেন উইলিয়ামসন, জোরুট, বাবর আযম আছেন এক থেকে পাঁচে।

মিরপুরে দারুণ বোলিংয়ে সাকিব তুলে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। তবে তার র‍্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হয়নি। আছেন ২৯তম স্থানে। ৪ উইকেট নিয়ে এবাদত হোসে অবশ্য এক ধাপ এগিয়ে আছেন ৮৪তম অবস্থানে।

বড় লাফ দিয়েছেন শ্রীলঙ্কান দুই বোলার কাসুন রাজিথা আর আসিথা ফার্নান্দো। ম্যাচে ৭ উইকেট নেওয়া রাজিথা এগিয়েছেন ১৭ ধাপ, আছেন ৪৪তম অবস্থানে। ১০ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হওয়া আসিথা ৪৪ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ৫২তম অবস্থানে।

ব্যাটসম্যানদের মতো বোলারদের শীর্ষ পাঁচেও আসেনি পরিবর্তন। প্যাট কামিন্স, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, যশপ্রীত বুমরাহ, শাহিন শাহ আফ্রিদি, কাইল জেমিসন আছেন শীর্ষ পাঁচে।



মে ২৮, ২০২২

মুমিনুল হকদের মানসিক শক্তি বাড়াতে মনোবিদের শরণাপন্ন হচ্ছে বিসিবি।

মুমিনুল হকদের মানসিক শক্তি বাড়াতে মনোবিদের শরণাপন্ন হচ্ছে বিসিবি।

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল, বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম, বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের ছবি

গত ৮ মে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বৈঠকে বসেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সেদিন তার সঙ্গে ছিলেন জাতীয় দলের বিদেশি কোচিং স্টাফের সদস্যরা। সেই বৈঠক সেরে বের হয়ে সংবাদমাধ্যমে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন পাপন। কোচিং প্যানালের সদস্যদের বরাত দিয়ে জানান, টানা দুই টেস্ট অর্থাৎ ১০ দিন ক্রিকেট খেলার মানসিকতা নেই বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে।

সে সময় পাপন বলেন, ‘একটা জিনিস ওরা (কোচিং স্টাফ) মনে করে, ১০ দিন খেলার মানসিকতা নেই। টানা ১০ দিন যে খেলতে হবে এই মানসিকতা অনেক খেলোয়াড়ের নাই। এটা একটা মাইন্ডসেটের ব্যাপার। এটা নিয়ে কাজ করতে হবে।'

পাপনের বলা মন্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেননি বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। গত ২৬ মে নিজেদেরকে শারীরিকভাবে ফিট দাবি করা বাঁহাতি অলরাউন্ডার নিজেও জানিয়েছেন, টেস্টে মানসিকভাবে পিছিয়ে আছেন তারা।

মুমিনুল হকদের মানসিক শক্তি বাড়াতে এবার নোবিদের শরণাপন্ন হচ্ছে বিসিবি। শুক্রবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঢাকা টেস্ট ১০ উইকেটে হারের পর এই তথ্য জানান পাপন।

পাপন বলছিলেন, ‘অনেক খেলোয়াড়কে ক্লান্ত মনে হচ্ছে। শুরুর দিকে ভালোই খেলে। দ্বিতীয় টেস্টে ৩ দিন পর্যন্ত ভালো খেলে, তারপর পারে না। লোক একই, টেকনিক একই, স্কিলও আছে, একই ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে- তাহলে এই সময়ে এসে পারে না কেন? নিশ্চয়ই মানসিক কিছু হওয়ার সম্ভাবনা। টেস্টের মাইন্ডসেটের ঘাটতি আছে।'

সঙ্গে যোগ করেন পাপন, ‘অবশ্যই মনোবিদ নিয়ে কাজ করতে হবে। আমরা ইতোমধ্যে কাজ করেছি। আমার জানামতে একটা হয়ে যাওয়ার কথা। পরিকল্পনা করা আছে ইতোমধ্যে।'

শ্রীলঙ্কা সিরিজের মধ্যেই মনোবিদ এনে কাউন্সিলিং করার কথা থাকলেও দুই টেস্টের মাঝে খুব বেশি সময় ছিল না জন্য এই সিরিজে এটি সম্ভব হয়নি বলে জানালেন বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। জালাল বললেন, ‘কম সময় ছিল বলে চট্টগ্রাম থেকে আসার সময় করা হয়নি।' 

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল এর আগেও কয়েক ধাপে মনোবিদের শরণাপন্ন হয়েছে।