এপ্রিল ১৯, ২০২২

বিশ্বনবীর হাতে লাগানো আজওয়া খেজুরের উপকারিতা এবং এর ইতিহাস।

ajwa date আজওয়া খেজুর

 আজওয়া খেজুর আকারে বেশ ছোট, কালো রঙের আস্তরণে আবৃত দেখতে প্রায় কালো জামের মতো। তবে অত্যান্ত সুস্বাদু পুষ্টিকর ও মানসম্মত। আমাদের প্রানের প্রিয় রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সর্বপ্রথম নিজ হাতে আজওয়া খেজুর বীজ রোপণ করেছিলেন।


তবে এই খেজুরের জন্মের পিছনে রয়েছে বিশেষ এক কারন। হযরত সালমান ফারসী (রাঃ) ছিলেন একজন কৃতদাস, একদিন তিনি তার দাসত্ব থেকে মুক্তি চাইলেন তার মালিকের কাছে। তার মালিক ছিলেন একজন ইহুদি। তখন তার সেই মালিক তাকে শর্ত দেয় নির্দিষ্ট কয়েকদিনের মধ্যে তাকে ৪০ আউন্স স্বর্ণ দিতে হবে সেই সাথে ৩০০টি খেজুর গাছ রোপণ করে সেখানে খেজুর ফলাতে হবে। যদি এই শর্ত তিনি মেনে নেন তবেই দাসত্ব থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হবে। কিন্তু এত কম সময়ে এত অর্থ জোগান করা আর খেজুর ফলানো প্রায় অসম্ভব ছিল।


এরপর সালমান ফারসী (রাঃ) মহানবীর দরবারে এসে ঘটনার বর্ননা করলেন। তারপর হযরত আলী (রাঃ) কে সাথে নিয়ে মহানবী (সাঃ) গেলেন ঐ ইহুদির কাছে। ইহুদি এক কাঁদি খেজুর দিয়ে বললেন এই খেজুর থেকে চারা উৎপন্ন করে ফল ফলাতে হবে। মহানবী দেখলেন ইহুদির দেওয়া সেই খেজুর গুলো আগুনে পুড়িয়ে কয়লা করে ফেলেছে যাতে চারা না গজায়। তিনি আলী (রাঃ) কে গর্ত করতে বললেন আর সালমান ফারসী (রাঃ) কে বললেন পানি আনতে। আলী (রাঃ) গর্ত করলে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নিজ হাতে প্রতিটি গর্তে সেই পোড়া খেজুরের বীজ রোপণ করলেন। পরে তিনি সালমান ফারসী (রাঃ) কে সেই গর্তে পানি দিতে বলেন। আর একই সাথে নির্দেশ দেন বাগানের শেষ প্রান্তে যাওয়ার আগ পর্যন্ত যেন তিনি পিছে ফিরে না তাকান।


রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কথা মতো সালমান ফারসী (রাঃ) তালা বাগানের শেষ প্রান্তে যাওয়ার পর পিছনে ফিরে তাকালেন। তাকিয়ে তিনি দেখলেন যে প্রতিটি গাছ খেজুরে পরিপূর্ণ। আর খেজুর গুলো পেকে কালো রঙের হয়ে গিয়েছে।


এছাড়া সহি আল বুখারীতে উল্লেখ রয়েছে সালমান ফারসী (রাঃ) বলেছেন আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছি যে ব্যক্তি ভোরে ৭টি আজওয়া খেজুর খাবে সেদিন কোন বিষ ও যাদু টোনা তার ক্ষতি করতে পারবে না।


এদিকে বিজ্ঞানের তথ্য মতে আজওয়া খেজুরে আছে আমিষ, শর্করা, প্র‍য়োজনীয় খাদ্য আঁশ ও স্বাস্থ্য সম্মত ফ্যাট। এছাড়া ভিটামিন-এ, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি দ্বারা ভরপুর। ভিটামিন-এ এর গুরুত্ব উপাদান ক্যারোটিনও রয়েছে এতে।


শেয়ার করুন