রাজধানী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
রাজধানী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মে ২৪, ২০২২

ঢাবিতে ফের ছাত্রলীগ এবং ছাত্রদলের সংঘর্ষ।

ঢাবিতে ফের ছাত্রলীগ এবং ছাত্রদলের সংঘর্ষ।

ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল সংঘর্ষ,ঢাকা,রাজধানী নিউজ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের দ্বিতীয় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবসহ ৩ জন আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানা যায়।
আজ মঙ্গলবার (২৪ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঢাবি ছাত্রদলের সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমান হামলা ও হতাহতের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানা যায়, প্রথম দফা সংঘর্ষের পর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ঢাকা মেডিকেল থেকে শহীদুল্লাহ হলের দিকে যায়। তখন সাড়ে ১১টার দিকে টিএসসি থেকে ছাত্রলীগের অন্তত তিন শতাধিক নেতাকর্মী ঢাকা মেডিকেল ও কার্জন হলের দিকে লাঠিসোটা নিয়ে এগিয়ে যায়। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ হামলা চালালে দোয়েল চত্বরের দিকে আবারও সংঘর্ষ বাধে।

ঢাবি ছাত্রদলের সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১০টার যে সংবাদ সম্মেলনটা আমরা করতে পারিনি সেটার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ঢাকা মেডিকেল থেকে শহীদুল্লাহ হলের দিকে যাওয়ার সময় দোয়েল চত্বরে আমাদের উপর ছাত্রলীগ আবারও সশস্ত্র হামলা চালায়। এ সময় ইট পাটকেল ছোঁড়াছুঁড়ি হয়। আমাদের অনেকেই আহত হয় এবং বিভিন্ন মেডিকেলে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন।'

তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। একটা দল একপাক্ষিক কতক্ষণ মার খেতে পারে। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের যেমন অধিকার রয়েছে আমাদেরও তেমন অধিকার রয়েছে। আমরাও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।'

ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাফি ইসলাম বলেন, ‘হামলায় কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবসহ আমাদের তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তার মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।'

প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, দোয়েল চত্বর থেকে ছাত্রলীগের অন্তত পাঁচ শতাধিক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের লাঠিসোটা নিয়ে শহিদ মিনারের দিকে আসতে দেখা যায়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ছাত্রলীগের একটি অংশ শহীদ মিনারে অবস্থান করছে। অন্যদিকে বিভিন্ন হল ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়কে মিছিল ও শোডাউন করছে।

মে ০৩, ২০২২

ঢাকায় পার্কের রোলার কোস্টার থেকে পড়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

ঢাকায় পার্কের রোলার কোস্টার থেকে পড়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

রোলার কোস্টারের ছবি

 রাজধানীর কদমতলীতে একটি ইকোপার্কের রোলার কোস্টার থেকে পড়ে  মো. রাব্বি (১২) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বাবার নাম জনু মিয়া। শিশুটির লাশ এখন ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ ও স্বজনেরা।


রাব্বির বাড়ি মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ইমামগঞ্জ গ্রামে। সে গেন্ডারিয়া এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকত। এবং সে গেন্ডারিয়ার স্থানীয় একটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।


ঈদের দিন দুপুরে মামা সাইফের সঙ্গে রাব্বি ও আরও কয়েকজন বুড়িগঙ্গা ইকোপার্কে বেড়াতে যায়। পার্কের রোলার কোস্টার থেকে পড়ে রাব্বি আহত হয়। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে রাব্বি ছোট ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।


কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) প্রলয় কুমার সাহা বলেন, রোলার কোস্টারের বেল্ট খুলে সেলফি তুলছিল শিশুটি। এরপর সে ছিটকে পড়ে যায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবদুল খান বলেন, রাব্বির লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

এপ্রিল ২০, ২০২২

যেভাবে ছড়িয়ে পড়ে ঢাকা কলেজ এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষ।

যেভাবে ছড়িয়ে পড়ে ঢাকা কলেজ এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষ।

 

dhaka college conflict ঢাকা কলেজ

ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের চাঁদাবাজি, ফাও খাওয়া বা কম মূল্য পরিশোধ নয়, বরং নিউ মার্কেটের দুটি ফাস্টফুড দোকানের কর্মচারীদের বিবাদ থেকে সংঘাতের শুরু। এ বিবাদে একপক্ষ আরেক পক্ষকে শায়েস্তা করতে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের ডেকে আনে। সেই সিসিটিভি ফুটেজ এসেছে যমুনা টেলিভিশনের হাতে।


সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, সোমবার রাত ১১টা ৩ মিনিটে রামদা হাতে সাদা টি-শার্ট পরা এক তরুণের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল নিউমার্কেটে প্রবেশ করে। হাতে রাম দা দেখে নিরাপত্তারক্ষী তা কেড়ে নেয়। এরপর তারা ওয়েলকাম ফাস্টফুডে ঢুকে সেখান থেকে বেরিয়ে ক্যাপিটাল ফাস্টফুডের দিকে যায়।সেখানে দোকানের বাইরেই গণ্ডগোল শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ পর মার খেয়ে পালিয়ে যায় বহিরাগত তরুণরা। জানা যায়, তাদের মধ্যে কয়েকজন ছিলেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী। তারা পালিয়ে যাওয়ার পরপরই তড়িঘড়ি করে ক্যাপিটাল নামের দোকানটি বন্ধ করে দেয়া হয়। বিপদ আঁচ করতে পেরে সে সময় মার্কেটের ৪ নম্বর গেট বন্ধ করে দেন দায়িত্বরত নিরাপত্তারক্ষীরা।


দুটি ফাস্টফুড দোকানের কর্মচারীদের বিবাদ থেকে সংঘাতের শুরু। নিউমার্কেট থেকে যারা মার খেয়ে চলে যায়, কিছুক্ষণ পর তারাই আরও লোকজন এনে মার্কেটে হামলা চালায়। নিউমার্কেটের-৪ নম্বর গেট দিয়ে ঢুকতেই ‘ওয়েলকাম’ নামের ফাস্টফুডের দোকান। সামনেই ‘ক্যাপিটাল’ নামের আরেকটি ফাস্টফুড দোকান। দুটি দোকানের মালিক আপন চাচাতো ভাই। ইফতারের সময় নিউমার্কেটের ভেতরে হাঁটার রাস্তায় টেবিল পেতে বসে ইফতারের ব্যবস্থা করে ফাস্টফুডের দোকানগুলো। সোমবার সন্ধ্যায় এই টেবিল পাতা নিয়ে দুই পক্ষের বাকবিতণ্ডা শুরু। এরপর ওয়েলকাম ফাস্টফুডের কর্মচারী বাপ্পি, ক্যাপিটালের কর্মচারী কাওসারকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে ওই জায়গা থেকে চলে যায়। পরে বাপ্পির নেতৃত্বেই একটি দল এলেই বিবাদের শুরু।


নিউমার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে যমুনা নিউজকে জানান, নিউমার্কেটের দোকানের কর্মচারীর সাথে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীর বন্ধুত্ব ছিল। কথা কাটাকাটির জেরে সে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের ডেকে আনে। তারা সেখানে সংঘর্ষে জড়ায়। পরে ক্যাম্পাসে গিয়ে তাদের মারা হয়েছে বলে আরও শিক্ষার্থী ডেকে আনে।


দোকান কর্মচারীরা ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছে খবর শুনে রাত সাড়ে ১১টার দিকে হেলমেটধারী এক দল ছাত্র এসে ৪ নম্বর গেটে হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। রাত ১২টার দিকে ছাত্ররা ২ নম্বর গেট খুলে মার্কেটে ঢুকে কিছুক্ষণ ভাঙচুর করে আবার বেরিয়ে যায়। তখন থেকে মূলত ব্যবসায়ীসহ হকাররা ছাত্রদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সে সংঘর্ষে আহত হলেন সাধারণ পথচারী, গণমাধ্যমকর্মী, শিক্ষার্থী, পুলিশ, ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। প্রাণ হারালেন নাহিদ নামের এক যুবক।

এপ্রিল ১৮, ২০২২

রাজধানীতে তারবিহীন বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু।

রাজধানীতে তারবিহীন বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু।

 

ঢাকা, রাজধানীর তারবিহীন বিদ্যুৎ

রাজধানীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরুর ইতিহাস শতবছর ছাড়ানোর অন্তত ২০ বছর পার হয়েছে। খুটিতে ঝুলন্ত তারের সঙ্গে দিনে দিনে বেড়েছে এক গুচ্ছ সেবা সংস্থার পরিকল্পনা এবং সমন্বয়হীনতার বোঝাও।


ঝুলন্ত তারে বিদ্যুৎ সরবরাহের এই সনাতন পদ্ধতি এবার রুপান্তরের যাত্রা শুরু হয়েছে। পুরো ঢাকার এসব ঝুলন্ত বিদ্যুতের লাইন এবার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মাটির নিচে। ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি (ডি.পি.ডি.সি.) দুটি প্রকল্পের কাজে এতদিন ধির গতি থাকলেও তা জোরেশোরে শুরু হয়েছে করোনার পর।


নির্ধারিত রুটে প্রধান সড়কের দু'পাশ দিয়ে চলছে আন্ডারগ্রাউন্ড হাই-ভোল্টেজ ক্যাবলিং নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার কাজ। এটি ভূগর্ভস্থ লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে গ্রিড সাব-স্টেশন থেকে একবারে গ্রাহক পর্যন্ত, কয়েকটি প্যাকেজ এ হবে এর কাজ।


যার প্রথম ধাপে বসানো হবে ২৯ কিলোমিটার ভূ-গর্ভস্থ লাইন। রুট হবে গাবতলী থেকে আজিমপুর পর্যন্ত (১০ কিলোমিটার) এবং জাহাঙ্গীর গেট থেকে বঙ্গভবন পর্যন্ত (১৯ কিলোমিটার)। মাটির তলদেশ থেকে তার স্থাপনের পাশাপাশি জাহাঙ্গীরগেট থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত খুটি ও সনাতন ট্রান্সফরমারের পরিবর্তে বসানো হচ্ছে আধুনিক ২০টি আর এম ইউ বা রিং মেইন ইউনিট, ২৪টি লো টেনশন ডিস্ট্রিবিউশন বক্স এবং ৪টি কিয়স্ক ট্রান্সফরমার। এর মধ্যে কিছু যন্ত্রাংশ বসে গেছে, ২০টি আর এম ইউ এর যায়গায় ১৩টি এবং ২৪টি এল টি ডি বি যায়গায় ১০টির ভিত্তি শেষ। গেল জানুয়ারিতে চালু ফার্মগেটের এই আর এম ইউ স্থাপনাটি।


সব ঠিক থাকলে ২০২৩ সালের মধ্যে গাবতলী থেকে আজিমপুর এবং জাহাঙ্গীর গেট থেকে বঙ্গভবন পর্যন্ত মূল সড়কের কোন তার দৃশ্যমান থাকবে না বলে জানাচ্ছে ডি পি ডি সি।


ডি পি ডি সি বলছে শুধু বৈদ্যুতিক পোল নয় সরিয়ে ফেলা হবে সেবা সংস্থার তার গুলো। পুরো ঢাকাকে ২০২৫ সাল এবং শিল্প নগরী নারায়নগঞ্জে এই কাজ শেষ করতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় প্রয়োজন বলে মত বিতরণ সংস্থার নীতি নির্ধারকদের।

এপ্রিল ০৫, ২০২২

রাজধানীতে ভোক্তা অধিকার অভিযানে দ্রব্য মূল্যের দাম কমে অর্ধেকে।

রাজধানীতে ভোক্তা অধিকার অভিযানে দ্রব্য মূল্যের দাম কমে অর্ধেকে।

রাজধানীতে তরমুজের ভোক্তা অধিকার অভিযান



গরমে ঠান্ডা ফল হিসেবে কদর বাড়ে তরমুজের এরমধ্যে রমজান এলে চাহিদা বেড়ে যায় আরোও।

শনিবার ঢাকা রাজধানীর কারওয়ানবাজারে ভোক্তা অধিকার অভিযান শুরু হলে তরমুজের বাজার থেকে বের হয় গরম গরম খবর, কত দামে কিনে কত দামে বিক্রি হচ্ছে তার হিসাব নেই আড়তদারদের কাছে, মুহূর্তে বাজার দর নেমে আসে অর্ধেকে। মাত্র ৩০ মিনিটে ৩০ হাজার টাকার তরমুজের দাম কমে নেমে এলো ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকায়।

ক্রেতা-বিক্রেতার যুক্তি তর্কে আরোও গরম হয়ে ওঠে তরমুজের আড়ত। তবে বড় বড় অভিযোগের প্রমান হাতে না পেলেও ছোট জরিমানা আর হুশিয়ারি দিয়ে রমজানের বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা।

এরপর বেগুন, শশা এবং লেবুর বাজারে যায় সংস্থাটি, এখানে তাদের উপস্থিতিতে এক হালি লেবুর দাম কমে যায় ২০ টাকা। পরে তদারকি চালানো হয় তেল, ডাল ও মাছের বাজারে।