এপ্রিল ১৮, ২০২২

রাজধানীতে তারবিহীন বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু।

 

ঢাকা, রাজধানীর তারবিহীন বিদ্যুৎ

রাজধানীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরুর ইতিহাস শতবছর ছাড়ানোর অন্তত ২০ বছর পার হয়েছে। খুটিতে ঝুলন্ত তারের সঙ্গে দিনে দিনে বেড়েছে এক গুচ্ছ সেবা সংস্থার পরিকল্পনা এবং সমন্বয়হীনতার বোঝাও।


ঝুলন্ত তারে বিদ্যুৎ সরবরাহের এই সনাতন পদ্ধতি এবার রুপান্তরের যাত্রা শুরু হয়েছে। পুরো ঢাকার এসব ঝুলন্ত বিদ্যুতের লাইন এবার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মাটির নিচে। ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি (ডি.পি.ডি.সি.) দুটি প্রকল্পের কাজে এতদিন ধির গতি থাকলেও তা জোরেশোরে শুরু হয়েছে করোনার পর।


নির্ধারিত রুটে প্রধান সড়কের দু'পাশ দিয়ে চলছে আন্ডারগ্রাউন্ড হাই-ভোল্টেজ ক্যাবলিং নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার কাজ। এটি ভূগর্ভস্থ লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে গ্রিড সাব-স্টেশন থেকে একবারে গ্রাহক পর্যন্ত, কয়েকটি প্যাকেজ এ হবে এর কাজ।


যার প্রথম ধাপে বসানো হবে ২৯ কিলোমিটার ভূ-গর্ভস্থ লাইন। রুট হবে গাবতলী থেকে আজিমপুর পর্যন্ত (১০ কিলোমিটার) এবং জাহাঙ্গীর গেট থেকে বঙ্গভবন পর্যন্ত (১৯ কিলোমিটার)। মাটির তলদেশ থেকে তার স্থাপনের পাশাপাশি জাহাঙ্গীরগেট থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত খুটি ও সনাতন ট্রান্সফরমারের পরিবর্তে বসানো হচ্ছে আধুনিক ২০টি আর এম ইউ বা রিং মেইন ইউনিট, ২৪টি লো টেনশন ডিস্ট্রিবিউশন বক্স এবং ৪টি কিয়স্ক ট্রান্সফরমার। এর মধ্যে কিছু যন্ত্রাংশ বসে গেছে, ২০টি আর এম ইউ এর যায়গায় ১৩টি এবং ২৪টি এল টি ডি বি যায়গায় ১০টির ভিত্তি শেষ। গেল জানুয়ারিতে চালু ফার্মগেটের এই আর এম ইউ স্থাপনাটি।


সব ঠিক থাকলে ২০২৩ সালের মধ্যে গাবতলী থেকে আজিমপুর এবং জাহাঙ্গীর গেট থেকে বঙ্গভবন পর্যন্ত মূল সড়কের কোন তার দৃশ্যমান থাকবে না বলে জানাচ্ছে ডি পি ডি সি।


ডি পি ডি সি বলছে শুধু বৈদ্যুতিক পোল নয় সরিয়ে ফেলা হবে সেবা সংস্থার তার গুলো। পুরো ঢাকাকে ২০২৫ সাল এবং শিল্প নগরী নারায়নগঞ্জে এই কাজ শেষ করতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় প্রয়োজন বলে মত বিতরণ সংস্থার নীতি নির্ধারকদের।


শেয়ার করুন