এপ্রিল ২৭, ২০২২

জুম'আর ফজিলত।

জুমার/জুম'আর নামাজ ও ফজিলত

আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি জুমুআর দিনে নাপাকী গোসলের ন্যায় গোসল করে নামাযের জন্য গমন করে সে। যেন একটি উট কুরবানী করল। তারপরে যে গমন করল সে যেন একটি গাভী কুরবানী করল। তৃতীয়তঃ যে গমন করল সে যেন শিং বিশিষ্ট একটি দুম্বা কুরবানী করল।
চতুর্থতঃ যে গমন করল সে যেন একটি মুরগী কুরবানী করল। পঞ্চমতঃ যে গমন করল সে যেন একটি ডিম দান করল। তারপর যখন ইমাম খুতবা দিতে উপস্থিত হন তখন ফেরেশ্তারা মনযোগ সহকারে উপদেশ শুনতে থাকেন।

ব্যাখ্যাঃ হাদীসে এ পুরস্কারের পাঁচটি স্তর বর্ণনা করা হয়েছে। জুমুআর জামাআতে উপস্থিত হওয়ার সময় সকাল হতেই শুরু হয়। প্রথম পুরস্কার তারই প্রাপ্য হবে যে সর্বপ্রথম মসজিদে আগমন করবে। উম্মতের প্রথম যুগের পুন্যবান লোকদের আমল এরূপই ছিল যে, তারা জুমুআর দিন সকাল সকাল মসজিদে চলে আসতেন। নামায শেষে বাড়ীতে প্রত্যাবর্তন করতঃ মধ্যাহ্ন ভোজের পর বিশ্রাম করতেন।

অন্যান্য হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, ইমাম খোতবায় দাঁড়ালে পুন্য লেখক ফেরেশতারাও মুরগী ও ডিমের কুরবানীর মসজিদে প্রবেশ করে খোতবা শ্রবণে মনোনিবেশ করেন। কথা রূপকভাবে বলা হয়েছে। আসলে এর তাৎপর্য হবে মুরগী ও ডিম আল্লাহর পথে করার পুন্য লাভ করবে যারা চতুর্থ ও পঞ্চম শেষভাগে মসজিদে গমন করবে। অতঃপর খোতবাদানের লক্ষ্যে মিম্বরে আরোহণ করার পর যে সকল মুসল্লী মসজিদে আসবে তারা মসজিদে আগে ভাগে উপস্থিত হওয়ার পুণ্য হতে বঞ্চিত হবে।

আবূ আব্দুল্লাহ সালমান ফারেসী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমআর দিনে গোসল করে, যথাসম্ভব পবিত্রতা অর্জন করে, তেল ব্যবহার করে অথবা ঘরের সুগন্ধি নিয়ে লাগায়। অতঃপর জুমআর উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে মসজিদে প্রবেশ করে দু’জনের মধ্যে পৃথক করে না। তারপর তার ভাগ্যে যতটা লেখা হয়েছে, ততটা নামাজ আদায় করে, তারপর যখন ইমাম খুৎবা দেয় তখন সে চুপ থাকে, তাহলে তার জন্য এক জুমআহ থেকে অন্য জুমআহ পর্যন্ত কৃত পাপরাশি ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’’ [বুখারি ৮৮৩, ৯১০, নাসায়ি ১৪০৩, আহমদ ২৩১৯৮, ২৩২০৬, ২৩২১৩, দারেমি ১৫৪১]
 


শেয়ার করুন